দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে যশোরে বিপ্লব হোসেন (৪২) নামে এক ব্যক্তিকে মারপিটে জখমের ঘটনায় আলী হোসেন সাগর (২৫) নামে এক যুবককে গণপিটুনি দিয়ে সেনাসদস্যদের হাতে তুলে দিয়েছে জনতা।
ঘটনাটি ঘটেছে গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শহরের পুলেরহাট আদ্বদীন সখিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে। আটক সাগর সদর উপজেলার মেদিয়া গ্রামের মৃত মোজাহর আলীর ছেলে। বর্তমানে সে সদর উপজেলার বি পতেঙ্গালী গ্রামে তার নানা বজলু শেখের বাড়িতে বসবাস করে।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত শরিকুল ইসলামের ছেলে বিপ্লব হোসেন কোতয়ালি থানায় দায়েরকরা এজাহারে উল্লেখ করেছেন, তার বোন রেহেনা বানুর (৪৫) শ্বশুরবাড়ি শহরতলীর কৃষ্ণবাটি গ্রামে। ভগ্নিপতি আবুল কালাম শারীরিক ভাবে অসুস্থ বিধায় তিনি এক মাস আগে কৃষ্ণবাটি গ্রামের আসেন এবং ভগ্নিপতির চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা করেন। আসামি সাগর ভাগ্নিপতির বাড়ির পাশে থাকে। সে হিসাবে তার সাথে পরিচয় হয়। গত শুক্রবার হঠাৎ সে তার ভগ্নিপতির বাড়িতে আসে এবং তাকে বলে তুই ব্যবসায়ী এবং আওয়ামী লীগের সমর্থক। তোকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। তিনি বিষয়টি এলাকার লোকজনের সাথে কথা বলেন এবং ৫০ হাজার টাকা দেবেন বলে জানান। সাথে সাথে ১০ হাজার টাকা দিয়ে দেন। বাকি টাকা সন্দ্যার দিকে দেবেন বলে জানিয়ে দেন। কিন্তু ওই দিন সন্ধ্যার দিকে তার ছেলে অসুস্থ হওয়ার সংবাদ পেয়ে তিনি ঝিনাইদহে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে আদ্বদীন সখিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে পৌছালে সাগরসহ অজ্ঞাত ৭/৮ জন তার মোটারাইকেলের গতিরোধ করে বাকি ৪০ হাজার টাকা দাবি করে। তিনি টাকা দিতে না চাইলে আসামিরা তাকে কিল ঘুষি লাথি চড় থাপ্পড় মারে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা পালিয়ে গেলেও সাগরকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। সংবাদ পেয়ে সেনাবাহিনীর টহল টিমে সেখানে পৌঁছে সাগরকে হেফাজতে নেয়। পরে আহত সাগরকে যশোরে জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। এবং তিনি থানায় মামলা করেন।
কোতয়ালি থানার এসআই জুম্মান খান জানিয়েছেন, আসামি সাগরকে আটক করে রোববার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।