আজ - বুধবার, ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১০ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৩শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - সকাল ৯:০২

যশোরে জেঁকে বসেছে শীত,নিক্সন মার্কেটে বাড়ছে ভিড়।

আবুল বারাকাত (যশোর থেকে) :: শীতের আগমনে নতুন অথবা পুরাতন গরম পোশাক কিনতে ক্রেতাদের উঁপচে পড়া ভিড় লক্ষনীয় যশোরের ফুটপাত এবং দোকানগুলোতে। গত বৃহস্পতিবার থেকে শীতের তীব্রতায় যশোরের বাজারে গরম কাপড়ের চাহিদা বেড়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই যশোর ঘুরে দেখা যায় ক্রেতাদের ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন বিক্রেতারা। ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষে লেপ, কম্বল, সোয়েটার, ব্লেজার, হাত-পায়ের মোজা, টুপিসহ নানান ধরনের গরম কাপড়।

শহর ঘুরে দেখা যাই যশোর শহরের ঐতিহাসিক টাউন হল ময়দানেই বসেছে স্থায়ী অস্থায়ী প্রায় তিন শতাধিক পুরাতন শীতের কাপড়ের দোকান। ভোররাত থেকেই এসব পুরাতন পোশাক বিক্রেতারা তাদের পোশাকগুলিকে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন মাপের পোশাকগুলি আলাদা আলাদা ভাবে সাজিয়ে রাখছেন। ক্রেতারাও সুর্য ওঠার জন্য অপেক্ষা করছেন না। সকাল হতে না হতেই এসব দোকানগুলিতে ক্রেতাদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মত।

বেশ কিছুদিন ধরে ভোররাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে যশোরের প্রকৃতি। শীত বৃদ্ধির সাথে সাথে বাড়িতে বাড়িতে শীত নিবারণের জন্য লেপ-কম্বলও ব্যবহার শুরু করেছে সবাই। শহরে গরম কাপড় মাফলার, সোয়েটার, কম্বল, জ্যাকেট, পরে মানুষকে চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে।

যশোর টাউন হল ময়দানে শাহীন নামের একজন বিক্রেতা অস্থায়ীভাবেই পোশাক বিক্রি করছেন তিনি বলেন, ৪/৫ দিন আগে দিনে বিক্রি হতো ৩/৪ হাজার টাকা। এখন শীত বেশি হওয়াতে ক্রেতার সংখ্যা বেড়েছে। এখন দিতে প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার পোশাক বিক্রি হচ্ছে। দাম কম হওয়ায় এবং অনেক শীত বেড়ে যাওয়ায় প্রায় সারাদিনই দোকানে ভিড় লেগেই থাকে। এবছর আমাদের ভোলো ব্যবসা হবে।

জেলা পরিষদ হকার্স মার্কেটের অস্থায়ী একজন দোকানের রইচ হাসান বলেন, গত এক সপ্তাহে যতো বিক্রি হয়নি, তার থেকে বেশি গত তিন দিনেই বিক্রি হয়েছে। প্রতি বছরেই শীত পড়া শুরু হলে বিক্রিও বেড়ে যায়।

একই মার্কেটের অপর ব্যবসায়ী সাইদ খান বলেন, বেচাকেনা ভালো, দোকানে সারাদিন ক্রেতাদের ভিড় ছিল। গত বৃহস্পতিবার থেকে প্রতিদিন বিক্রি হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার টাকার পোশাক।

খুলনা থেকে আসা একজন ক্রেতারা বলেন, যশোর শহরের বিভিন্ন এলাকার ফুটপাতে ৫০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে সোয়েটার, কানটুপি, মাফলার, মোজা ও হাত মোজাসহ নানা ধরনের শীতের পোশাক। এখানে অনেক বেশি দোকান থাকায় আমরা বেছে দামকরে পোশাক কিনতে পারছি। বাচ্চা থেকে শুরু করে বাড়ির সকলের জন্যই পোশাক বাঁচছি। যেটা পছন্দ হচ্ছে দামদর করে কিনে নিচ্ছি।

শহরের কালেক্টরেট মসজিদ মার্কেট, জেলা পরিষদ হকার্স সুপার মার্কেটসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে শীতবস্ত্রের বাজারে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে ক্রেতা সাধারণের উপচে পড়া ভিড়। শহরের ফুটপাত ও মার্কেটের শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে ছিল বেচাকেনার ধুম। সোয়েটার ও চাদর বিক্রি গত বছরের তুলনায় এবার অনেকটাই বেড়েছে।

আরো সংবাদ