যশোরে ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে একটি চোর চক্রের তিনজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ তাদের কাছ থেকে সোনা, ব্রোঞ্জ ও রুপার গয়না, টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে।
জানা যায়, যশোর কোতোয়ালি থানার বালিয়াডাঙ্গা বাবলাতলা এলাকায় শিক্ষা বোর্ডের আনসার সদস্য এমদাদুল হক মিলনের বাসা থেকে গত ২৫ জানুয়ারি রাতে এক বা একাধিক চোর ১টি মোবাইল, ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ও ৯ ভরি স্বর্ণালংকার, এক জোড়া ব্রোঞ্জের চুড়ি, রুপার আংটি ও নূপুর চুরি করে নিয়ে যায়।
এর আগে গত বছরের ৩০ নভেম্বর যশোর কোতোয়ালি থানার হামিদপুর গাজীপাড়া এলাকায় কোর্টের মুহুরি মো. আসলাম হোসেনের বাসা থেকে দুটি মোবাইল ফোন, ১ ভরি ৮ আনা স্বর্ণালংকার ও ১ জোড়া ব্রোঞ্জের চুড়ি চুরি হয়।
যশোর জেলার পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, বিপিএম (বার), পিপিএম-এর দিকনির্দেশনায় জেলার শহর ও শহরতলিতে শান্তিশৃংখলা রক্ষা, চুরি-ডাকাতি বন্ধে জেলা গোয়েন্দা শাখা ধারাবাহিক কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় দুটি চুরির ঘটনার খবর শুনে ডিবির ওসি রুপন কুমার সরকার, পিপিএম-এর নির্দেশে এসআই শামীম হোসেন ও এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএম তদন্ত ও তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে অপরাধীদের শনাক্তের জন্য কাজ শুরু করেন।
ইতিমধ্যে গতকাল সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) চুরির ঘটনায় আনসার সদস্য এমদাদুল হক মিলন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন। মামলাটি জেলা গোয়েন্দা শাখায় তদন্তের জন্য ন্যস্ত করলে ওসি ডিবি রুপন কুমার সরকার, পিপিএম-এর দিকনির্দেশনায় পুলিশ পরিদর্শক শেখ শাহীনুর রহমানের নেতৃত্বে এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএম ও এসআই শামীম হোসেন সঙ্গীয় অন্যান্য অফিসার ফোর্সের সমন্বয়ে একটি চৌকস টিম ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৭টা থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোর ৭টা পর্যন্ত মনিরামপুর ও কোতোয়ালি থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মূল চোর নুর ইসলাম ওরফে নুরুকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মনিরামপুর বাজারে পুষ্প ও পূজা জুয়েলারি থেকে দেড় ভরি স্বর্ণালংকার ও ২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, দুটি চোরাই মোবাইল ফোন, ১টি রুপার আংটি, ১ জোড়া নূপুর, ২ জোড়া ব্রোঞ্জের চুড়ি উদ্ধার করে। পরে পুলিশ আরও দুই চোর অলোক কুমার মজুমদার (৩৮) ও রেজাউল ইসলাম রেজাকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ধৃত আসামি নুর ইসলাম ওরফে নুরু পেশাদার চোর। সে রাতের আঁধারে যশোর শহর ও শহরতলির বিভিন্ন বাড়ি থেকে টাকা, স্বর্ণালংকার, রুপার অলংকার, মোবাইল ফোন চুরি করে মনিরামপুর বাজারের দুটি দোকানে ও ঝুমঝুমপুরের ১টি স্বর্ণের দোকানে বিক্রি করে। চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার হওয়ার খবর পেয়ে মুহুরি আসলাম হোসেন উদ্ধারকৃত মাল শনাক্ত করে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের করেন ।