যশোরে লাবনী (৩৫) নামে তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) একজনকে ছুরিকাঘাতে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার ৮ জানুয়ারি সকাল ৯টার দিকে যশোর-ছুটিপুর সড়কের হালসা ব্রিজের কাছে মাঠের ভিতরে রাস্তার উপর এই ঘটনা ঘটে।
নিহত লাবনীর বাবা করিম মিস্ত্রী। যশোর শহরের বেজপড়ার বাসিন্দা। প্রত্যক্ষদর্শী নাজমা ও সেলিনা জানান- লাবনী, নাজমা ও সেলিনা এক সাথে যশোর শহরের ধর্মতলায় হিজড়া সরদার পান্জারির অধীনে ছিলেন।
মন ও মতের মিল না হওয়ায় তারা তিনজন পান্জারির থেকে আলাদা হয়ে যান। এনিয়ে পান্জারি ও তার লোক মুন্নি, বর্ষা, ও সনিয়া প্রায়ই সময় তাদের হত্যার হুমকি দিতেন।
শনিবার সকালে তারা তিনজন গ্রামে যান। হালসা ব্রীজের কাছে পৌঁছালে মুখে মাস্ক পরা দুইজন এসেই লাবনীর গলায় ছুরি দিয়ে পোছ দেয়। এসময় লাবনী রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যান।
পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় লাবনীকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার আহম্মেদ তারেক শামস বলেন, গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়।
দ্রুত তাকে অপারেশন থিয়েটারে পাঠানো হয়। কিন্তু অপারেশনের টেবিলে তিনি মারা যান। অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কি কারণে কেনো এই হত্যাকাণ্ড এবং কারা ঘটিয়েছে পুলিশ তা তদন্ত করে দেখছে।