যশোরে এম এম কলেজের অনার্স ২য় বর্ষের এক ছাত্রীর (১৯) মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে । গতকাল রাতে যশোরের ইবনেসিনা হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। গেল মে মাস থেকে পালাক্রমে মেয়েটিকে ধর্ষন করে আসছিলো উপশহরের এস ব্লক ২৪ ও ২৫ নং বাসার সৈয়দ মেহেদী হাসান শামিম ওরফে ল্যাংড়া শামীম। মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে শামীমকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে নানা টালবাহানা শুরু করে শামীম।
মেয়েটি অন্তঃসত্তা হয়ে পড়লে দুশ্চিন্তায় পড়ে পরিবার, যশোরের কয়েকটি হাসপাতালের ডাক্তার পরিক্ষা নিরীক্ষা করে জানান মেয়েটি দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা তবে বাচ্চাটি জরায়ুতে না হয়ে অন্য একটি নাড়িতে গর্ভধারণ হয়েছে ফলে অপারেশন প্রয়োজন হয়ে পড়ে। গেল বুধবার একটি ক্লিনিকে মেয়েটির অপারেশন করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতে ইবনেসিনা হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যু বরণ করে সে৷
উল্লেখ্য ধর্ষক শামীমের ছোট ভাই নাসিম ও নাঈম মেয়েটির সাথে একই শ্রেণীতে পড়তো। এবং নাসিমের মাধ্যমে শামীম মেয়েটিকে প্রেমের প্রস্তাব দিতো।
এ ঘটনায় মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হলে শামীমের ছোট ভাই নাসিম (২০) কে আটক করেছে পুলিশ। প্রধান অভিযুক্ত ধর্ষক মেহেদী হাসান শামীম ওরফে সৈয়দ শামীম ওরফে ল্যাংড়া শামীম পালাতক রয়েছে।
ধর্ষক শামীম উপশহর এস ব্লকের ২৪ ও ২৫ নং বাসার সৈয়দ রওশন আলীর বড় ছেলে এবং ৪ নং নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড (তরফ নোয়াপাড়া) বিএনপি’র সভাপতি ওমর আলী বিশ্বাসের বড় জামাই।