যশোরে পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী তার স্ত্রীকে হত্যা করেছে। ভাগ্যহত্যার নাম রহিমা খাতুন (৪২)। ঘটনার পর থেকে স্বামী মাছ ব্যাবসায়ী জাকির পলাতক রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে গত মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
যশোর বেনাপোল থানার পুটখালি পশ্চিম পাড়ার মৃত জয়নাল গাজীর মেয়ে রহিমা। তিনি মহিলাদের কোরআন শিক্ষা দিতেন। রহিমা কজীপাড়ার গোলাম সরেয়ারের বাসায় ভাড়া থাকতেন।
রহিমার বড় ভাই মশিয়ার রহমান জানান, গত সোমবারে রহিমা তার ভাইজির বিয়েতে যান সেখান থেকে ফিরে আসার পর আর কোন যোগাযোগ হয়নি। বৃহস্পতিবার বিকেলে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানা থেকে ফোন পেয়ে জানতে পারি রহিমার মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
গতবছর রহিমা কাজী পাড়ার ভাড়া বাসায় উঠেন। আট বছর আগে রহিমার সাথে জাকিরের দ্বিতীয় বিয়ে হয়। রহিমার আগের ঘরে এক ছেলে আছে। জাকিরেরও দ্বিতীয় বিয়ে, পুটখালিতে বউ ও এক ছেলে রয়েছে।
বিভিন্ন সময় তাদের মধ্যে আগের বউ ও সন্তান নিয়ে ঝগড়া লেগেই থাকতো। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের কারনে স্বামী জাকির মঙ্গলবার যেকোনো সময় রুমের ভেতর স্ত্রী রহিমার গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই তপন কুমার নন্দী জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়ির মলিকের মাধ্যমে খবর পেয়ে কাজীপাড়ার ঐ বাসার ভেতর খাটের উপর লেপ দিয়ে জড়ানো লাশ পাওয়া যায়। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
জাকির যশোর বড় বাজারে মাছের ব্যবসা করেন। মাঝেমধ্যে তিনি বড় স্ত্রীর কাছে থাকেন।