যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে (বালক) তিন শিশু হত্যার ঘটনায় নিহতের প্রত্যেক পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তিনটি শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে বিদ্যমান অনিয়ম ও সমস্যা দূরীকরণে পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র ও সমাজ কল্যাণ সচিব, সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, যশোরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ আদেশ দেন। নিহত তিন শিশুর পরিবারের পক্ষে ব্যারিস্টার সানজিদ সিদ্দিকীর করা এক রিট আবেদনে এ আদেশ দেন। এ আইনজীবী নিজেই শুনানি করেন।
গত ১৩ আগস্ট শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে তিন কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ সময় ১৫ কিশোরকে পিটিয়ে আহত করা হয়। এ ঘটনায় নিহত প্রত্যেক শিশুর পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আইনি নোটিশ পাঠানো হয় গত ২০ আগস্ট। নোটিশের জবাব না পেয়ে রিট আবেদন দাখিল করেন। আজ এ রিট আবেদনের ওপর শুনানি হয়।
নিহতরা হলো-বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার ছোলিবপুর পূর্বপাড়ার নান্নু পরামানিকের ছেলে নাইম হাসান, খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশা দক্ষিণপাড়ার রোকা মিয়ার ছেলে পারভেজ হাসান ও বগুড়ার শেরপুরের মহিপুর গ্রামের নূরুল ইসলাম নুরুর ছেলে রাসেল ওরফে সুজন। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সরকারের গঠিত তদন্ত কমিটি তদন্ত করেছে। শিশুদের ওপর নির্যাতনের প্রমান পেয়েছে তদন্ত কমিটি।