বিশেষ প্রতিনিধি, যশোর পৌরসভার পৌরকমিশনার হাজি সুমনের নামে এবার কোতয়ালী থানায় চাঁদাবাজির মামলা করলেন চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা থানার গোপালপুর গ্রামের জান মোহাম্মদের ছেলে ছাগল ব্যবসায়ী জিবার উদ্দিন জীবন।
মামলায় তিনি উল্লেখ করেছেন তাকে হাজি সুমনের নেতৃত্বে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা তাকে জেস গার্ডেনের সামনে থেকে তুলে নিয়ে শহরের ষষ্টিতলা পাড়ার একটি বাড়িতে আটকে রেখে মারপিট করে তার কাছ থেকে ব্যবসার টাকা কেড়ে নেয়। কোতয়ালী থানায় দায়ের করা এজাহারে, ছাগল ব্যবসায়ী জিবার উদ্দিন জীবন, উল্লেখ করেন, গত ১১ নভেম্বর তিনি ব্যবসার ছাগল কিনতে যশোরে এসে বাহাদুরপুরের তরিকুলের ছাগলের খামারে যান।
ওই সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি কাজ শেষে জেস গার্ডেনের রাসেলের চা এর দোকানে বসে ছিলেন। এসময় হাজি সুমনের নেতৃত্বে ৫/৬টি মোটর সাইকেলে ষষ্টিতলা পাড়ার শওকত আলীর ছেলে সুমন, একই এলাকার ইমন, বাহাদুরপুরের আব্দুল খালেকের ছেলে তরিকুল সহ আরা ৮/১০ জন তাকে ইচ্ছার বিরদ্ধে একটি মোটর সাইকেলে তুলে নিয়ে ষষ্টিতলা পাড়ার সুমনের বাড়িতে আটকে রেখে এলোপাথাড়ি ভাবে মারপিট ও জখম কওে তার কাছে রক্ষিত নগদ ১ লাখ টাকা, তার কাছে থাকা ইসলামী ব্যাংকের চেক কেড়ে নিয়ে আরো ৮৫ হাজার টাকা একং ২০ হাজার টাকা মুল্যের ভিভো মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেয়।
পরের দিন সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় খুলনা থেকে রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা সাগরদাড়ি ট্রেনে জোর পূর্বক তুলে দেয়। পরে জীবন সুস্থ হয়ে আসামীদের নাম পরিচয় সংগ্রহ করে থানায় অভিযোগ করতে দেরি হয় বলে তিনি এজাহারে উল্লেখ করেন।
কোতয়ালী থানার মামলা নং-৫০। তারিখ ১৪/১/২০। ধারা-১৪৩/ ৩৪২/ ৩২৩/ ৩৮৫/ ৩৮৬/ ৩৭৯/ ৫০৬। এই মামলার তদন্ত দেয়া হয়েছে কোতয়ালী থানার এসআই কামাল হোসেনকে।
কামাল হোসেন জানান, দ্রুত এই মামলার আসামীদের আটকের তিনি চেষ্টা করছেন। এর আগে যশোর ডিবি পুলিশ হাজী সুমনের মালিকানাধীন একটি বাড়ি থেকে কোটচাঁদপুরের এক মোবাইল ব্যবসায়ীকে উদ্ধার এবং সাত অপহরনকারিকে আটক করে। এব্যাপারে কোতয়ালী থানায় মামলা হয়েছে। এই অপহরনকারীরা গতকাল আদালতে জামিনের আবেদন করে ব্যর্থ হয়েছে।
তবে স্থানীয়রা বলছেন, হাজি সুমনের মালিকানাধীন বাড়ীটি মেস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল মেসে বাসকারীদের অমকর্মের দ্বায় সুমনের নই। জীবন কর্তৃক যে মামলা দেয়া হয়েছে সেটিও এক দারোগার ইঙ্গিতে। প্রশাসনকে এসকল কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন এলাকাবাসী।