যশোরে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদিসহ চোর চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করছে যশোর জেলা ডিবি। এ সময় তাদের কাছ থেকে চোরাই স্বর্ণ ও টাকা উদ্ধার করে। গত ৮ অক্টোবর ও ২৭ অক্টোবর ২০২২ তারিখ পৃথক ০২টি ঘটনায় একটি অজ্ঞাতনামা প্রতারক চক্র ভ্যান চালক সেজে ভুক্তভোগী মনিরামপুর এর ফেদাইপুর এলকার সিদ্দিকুর রহমন এর স্ত্রী আসমা বেগম (৩৮), ও কেশবপুর আলতাপোল এলাকার হারাধন আড্যর স্ত্রী লতিকা আঢ্য (৪৫), যশোরদ্বয়কে ভ্যানের আরোহী হিসেবে ভাড়ায় নিয়ে পথিমধ্যে স্বর্ণের বার সাদৃশ্য পিতলের ধাতব পদার্থ ও একটি চিরকুট (চিঠি) রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়ার ভান করে ভুক্তভোগীদের প্রতারণা পূর্বক জ্ঞানশুন্য করে তাদের নিকট থেকে স্বর্ণালংকার চুরি ও চুরির চেষ্টা করে । ২৭ অক্টোবর ২০২২ তারিখের ঘটনায় ১ জন আসামী আলমগীর হোসেন পাবলিক কর্তৃক হাতে নাতে গ্রেফতার হয়। ঘটনা সংক্রান্তে কেশবপুর থানায় পৃথক ০২(দুই)টি মামলা হয়। সেই মামলার তদন্তভার জেলা গোয়েন্দা শাখার উপর ন্যাস্ত করা হইলে এসআই নিতাই চন্দ্র দাস ও মফিজুল ইসলাম, পিপিএম দ্বয়ের নেতৃত্বে একটি চৌকশ টিম তথ্য প্রযুক্ত ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনায় জড়িতদের সনাক্ত পূর্বক ইং ১২/১২/২০২২ তারিখ রাত অনুমান ০১.৩০ ঘটিকার সময় খুলনা কেএমপি’র হরিনটানা থানা এলাকায় অভিযান করে ঘটনা চক্রের ২ সদস্যকে আটক করে। তাদের হেফাজত থেকে স্বর্ণ সাদৃশ্য পিতলের ধাতব পদার্থ, চিরকুট (চিঠি), ১টি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা ও চোরাই স্বর্ণ ও নগদ টাকা জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামীগণ একটি পেশাদার আন্তঃজেলার সংঘবদ্ধ প্রতারক চোর চক্রের সদস্য। তারা অত্র জেলা সহ আশপাশ জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় একাধিক প্রতারণা মুলক চুরি সম্পাদন করেছেন মর্মে তথ্য প্রমান পাওয়া যাইতেছে। তাদের বিরুদ্ধে দেশে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা আছে। চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের মধ্যে ১ জন বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃকাঃবিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করে।<br>