** আমার নামে মামলা রয়েছে আজ রাতে তোমাদের বাড়ীতে থাকবো : ছাত্রকে শিক্ষক শামছুদ্দীন।
** আমার বিরূদ্ধে কোথাও কোন মামলা নেই: গণমাধ্যমকে শিক্ষক শামছুদ্দীন।
যশোর সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের সিরাজ সিংগা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামছুদ্দীন গাজীর বিরূদ্ধে সমকামিতার অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসীরা জানান, অভিযুক্ত শিক্ষক স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রদের কোমল পানীয়র সাথে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে অচেতন করে তাঁদের সাথে ব্যাভিচারে লিপ্ত হতেন। প্রায় বছর খানেক আগ থেকে চলে আসা এ কর্মকান্ড প্রকাশ্যে আসে সপ্তাহ দুয়েক আগে। সে সময় স্থানীয় সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিদের অর্থনৈতিক সুবিধা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেন শিক্ষক শামছুদ্দীন । কিন্তু বিচার না পেয়ে ভুক্তভোগি পরিবারের মধ্যে চাপাক্ষোভ বিরাজ করতে থাকে।
আজ বুধবার সকালে গোপন সূত্রের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয় এ সব তথ্যের সত্যতা মেলে । ভুক্তভোগি খালেকুজ্জামানের স্ত্রী অভিযোগ করে বলেন একরাতে তাঁর ছেলে ওয়ালিদ কে কোমল পাণীয়র সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে অচেতন করে অসামাজিক কার্মকান্ডে লিপ্ত হয়েছেন অভিযুক্ত শিক্ষক। এরপর বিষয়টি তাঁর স্বামী খালেকুজ্জামান কে জানালে তিনি লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি নিয়ে উচ্চবাচ্চ না করে বাড়িতে শিক্ষকের আসা যাওয়া কৌশলে বন্ধ করে দেন।
একই এলাকার কামরুল ইসলাম (৩৫) ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে সমকামীতার বিস্তর অভিযোগ তুলে ধরেন। এ সময় তিনি একই এলাকার বাবুর ছেলে সজীব, বাবলুর ছেলে শিহাব, আমিরুলের ছেলে অন্তর সহ আরো ৫/৬ জন ঐ শিক্ষকের নোংড়া লালসার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন।
সমকামিতার ব্যাপারে উথ্থাপিত সকল অভিযোগ অস্বিকার করে অত্র স্কুলের প্রধান শিক্ষক শামছুদ্দীন গাজী নিজেকে নির্দোষ দাবি করে উল্টো সাংবাদিকদের উত্তেজনা দেখান।
রামনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাজনিন নাহার আগামিকাল বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুক্তোভোগি পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার এ, এস, এম, আব্দুল খালেক বলেন , এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খানজাহান আলী 24/7 রিয়াজুর ইসলাম/যশোর।