যশোরে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল করে ধর্ষণ, মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীল ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকির অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় সিলেট জেলার তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।

আসামিরা হলেন—সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার চাপনগর গ্রামের ফয়জুল হকের দুই ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৪৫) ও তারেক আহমেদ এবং হুইদ আহমেদের ছেলে কুতুব উদ্দিন (৪০)।

মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী গৃহবধূ উল্লেখ করেন, প্রায় দেড় বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ে। একপর্যায়ে দেলোয়ার কৌশলে তার কিছু ব্যক্তিগত ছবি সংগ্রহ করে তা এডিট করে ভয়ভীতি দেখাতে শুরু করে। এরপর ছবিগুলো ডিলিট করার শর্তে তার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে এবং তিনি বাধ্য হয়ে অর্থ প্রদান করেন।

এরপর দেলোয়ার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দেয়। রাজি না হলে ছবি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। অবশেষে চাপে পড়ে ভুক্তভোগী রাজি হন। ২০২৪ সালের ২৭ মে মনিহার আবাসিক হোটেলের ২০৫ নম্বর কক্ষে নিয়ে গিয়ে দেলোয়ার তাকে ধর্ষণ করে। বাকি দুই আসামি হোটেলের অন্য একটি কক্ষে অবস্থান করে।

ধর্ষণের সময় দৃশ্যটি গোপনে ভিডিও ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে ওই ভিডিও দেখিয়ে আবারো ৯ লাখ টাকা দাবি করা হয়। ভুক্তভোগী রাজি না হলে তার নামে ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে ভিডিও ও ছবি আত্মীয়-স্বজনের কাছে পাঠানো হয়। এতে তার মান-সম্মানহানি ঘটে এবং তাকে ক্রমাগত ভয়ভীতি দেখানো হতে থাকে।

পরিবারের সঙ্গে পরামর্শ করে অবশেষে তিনি কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।