আজ - বৃহস্পতিবার, ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - সন্ধ্যা ৬:১৪

যশোরে বসুন্দিয়ায় নৌঁকাবাইচ ঘিরে ব্যাপক চাঁদাবাজি – প্রধান অতিথি ডিসি!

মুনতাসির মামুন: যশোরের বসুন্দিয়া ইউনিয়নে নৌকাবাইচ কে কেন্দ্রকরে লাগামহীন চাঁদাবাজি করছে একটি মহল। শনিবার ২৭ অক্টোবর ভৈরব নদ বসুন্দিয়া, জগন্নাথপুর, আফরা ও শেখহাটির পরিসীমায় অনুষ্ঠিত হবে প্রতিযোগিতাটি।

এ প্রতিযোগিতায় জেলা প্রশাসক আবদুল আওয়াল কে প্রধান অতিথি এবং থানা নির্বাহি অফিসার মোঃ ইব্রাহিম, পুলিশ সুপার নড়াইল জসিম উদ্দীন পিপিএম ও জেলা আ’লীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, উপজেলা আ’লীগ সভাপতি মোহিত নাথ সহ গণ্যমান্যদের বিশেষ অতিথি করা হয়েছে।

উল্লেখ্য মাস খানেক অাগেই প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে নৌঁকাবাইচের আয়োজন করা হয় একই ইউনিয়নের একই স্থানে। সে কারনে এই বিতর্কিত নৌকাবাইচ সমর্থনও করছেন না স্থানীয়দের অনেকেই।

স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, নৌকাবাইচ কে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পৃথক পৃথক অঙ্কে চাঁদা আদায় করছে, প্রতিযোগিতা পরিচালনা কমিটির আহবায়ক আসাদুজ্জামান খান মানিক। হাজার টাকা থেকে শুরু করে দাবি করা হচ্ছে সর্বোচ্চ পর্যন্ত। কোন প্রকার রসিদ বিহর্ভূত চাঁদা আদায় করা বে- আইনি উল্ল্যেখ করে ব্যবসায়ীরা বলেন, এই বাজারে ব্যবসা করতে হলে চাঁদা দিতেই হবে না হলে দোকান খুলতে দিবেনা। প্রতি বছরই ভিন্ন ভিন্ন ইস্যুতে এরকম চাঁদাবাজি করে থাকে মানিক গং।

প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের আমন্ত্রণ করে তিনি তার কার্যসিদ্ধি করে থাকেন।

বুধবার সন্ধ্যায়, মানিক গং এর ইমরান, পঁচা, মিজান, বজলু, আতিয়ার সহ ৪/৫ জনের একটি দল হটাৎ বসুন্দিয়া বাজারে প্রবেশ করে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তাৎক্ষনত চাঁদা আদায় করে এবং টার্গেটকৃত ব্যবসায়ীদের টাকার অঙ্ক ও সময় বেঁধে দিয়ে যান।

স্থানীয় ব্যবসায়ী কামাল হোসেন, কাওছার আলী ও নিখিল দাস ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষি, সাংবাদিক পরিচয় গোপন করে চাঁদাবাজির ব্যাপারে জানতে চাইলে তারা অকপটে উপরোক্ত স্বীকারোক্তি প্রদান করেন।

এব্যাপারে, বসুন্দিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম খান রাসেল তাৎক্ষনিক কিছু বলতে না পারলেও, ঘন্টা খানেক পর খোঁজ খবর নিয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি খুবই নেক্কারজনক আমি এ ঘটনার তীব্রনিন্দা জানাই একই সাথে জড়িতদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন চেয়ারম্যান।

থানা নির্বাহি কর্মকর্তা মোঃ ইব্রাহিম খানজাহান আলী 24/7 নিউজ কে বলেন, এ ভাবে চাঁদা আদায় করার কোন যুক্তি নাই, ব্যাপারটি তো আমি জানিনা আপনাদের কাছ থেকে শুণলাম, আমি দেখছি বিষয়টি। এরকম কর্মকান্ড ঘটার পর অতিথিরা সেখানে যাবেন কিনা এ ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছিনা ।

জেলা প্রশাসকের ফোন বন্ধথাকায় তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি ।

আরো সংবাদ