যশোর জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালত বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে আইনজীবী সমিতি। মঙ্গলবার জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে বিশেষ সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ওই আদালতের বিচারক আব্দুল হামিদকে প্রত্যাহার করে না নেয়া পর্যন্ত বিচারিক কোনো কার্যক্রমে অংশ নেবেন না আইনজীবীরা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই সভায় অংশ নেয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলম বাচ্চু।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির এক নম্বর ভবন মিলনায়তনে বিশেষ সাধারণ সভা এবং অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের মৃত্যুতে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সভায় সভাপতিত্ব করেন আইনজীবী সমিতির সভাপতি এম ইদ্রিস আলী।
বক্তব্য রাখেন সিনিয়র আইনজীবী নজরুল ইসলাম, জেনারেল পিপি বাহাউদ্দিন ইকবাল, দেবাশীষ দাস, মাহাবুব আলম বাচ্চু, কাজী ফরিদুল ইসলাম, আবু মোর্ত্তজা ছোটন, শাহানুর আলম শাহিন, আমিনুর রহমান, গাজী আব্দুল কাদির, আরএম মঈনুল হক খান ময়না, রুহিন বালুজ প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক এমএ গফুর।
জানা গেছে, যশোর জেলা আইনজীবী সমিতি অ্যাটর্নি জেনারেলের মৃত্যুতে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। সমিতির নিয়ম অনুযায়ী কর্মসূচির ব্যাপারে জেলা ও দায়রা জজকে অবহিত করতে হয়। এদিন সকালে সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জেলা ও দায়রা জজ আদালতে দায়িত্বপ্রাপ্ত ১ম আদালতের বিচারককে সভার বিষয়টি অবহিত করার জন্য সাক্ষাতের অনুমতি চান।
তিনি তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন না বলে পেশকারকে জানিয়ে দেন। বিষয়টি আইনজীবীদের মধ্যে জানাজানি হলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে সমিতির বিশেষ সাধারণ সভার আহবান করা হয়। এ সভায় সর্বসম্মতিতে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক আব্দুল হামিদের আদালত বর্জন ও যশোর থেকে তাকে প্রত্যাহার করে না নেয়া পর্যন্ত বিচারিক কোনো কার্যক্রমে অংশ নেবেন না আইনজীবীরা।
একইসঙ্গে বিচারক মৃত্যুঞ্জয় মিস্ত্রীর বিরুদ্ধে এক আইনজীবীর লিখিত অভিযোগের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়।
সভায় মরহুম অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের রুহের মাগফিরাত কামনা ও শোকাহত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমাবেদনা জানানো হয়। শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন আকতার কামাল।