“যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, শহিদুল ইসলাম মিলনের লোকজন ছুরি দিয়ে কুপিয়ে ও বোমা মেরে হত্যা করেছে আরাফাত মুনাফ লিটন কে। দাবি লিটনের সঙ্গে থাকা আহত ফজলুর রহমান মিলনের”
স্টাফ রিপোর্টার : যশোর শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোড ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের আঞ্চলিক কার্যালয়ে বোমা হামলার শিকার যুবলীগনেতা লিটন মারা গেছে ( ইন্নালিল্লাহি——- রাজিউন ) গতকাল রাতে লিটনের অবস্থা গুরুতর হয়ে পড়লে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার উদ্দেশ্যে নেয়া হচ্ছিল, রাত দু’টোর দিকে ফরিদপুরে পৌঁছালে পথিমধ্যেই মারা যান তিনি।
ফজলুর রহমান মিলন সাংবাদিকদের আরো জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে লিটন, মিলনসহ যুবলীগের স্থানীয় কয়েকজন যশোর শহরের ঘোপ আঞ্চলিক যুবলীগ অফিসে বসেছিলেন। ওই সময় প্রতিপক্ষ গ্রুপের সুমন, আকাশ, কুদ্দুস, ইসরাফিল, রেজোয়ান, শাকিলসহ ২০-২৫ জন সেখানে আসে এবং অন্যদের সেখান থেকে বের করে দেয়। এরপর তারা লিটনকে এলোপাতাড়ি ছুরি মারে। পরে তারা ত্রাস সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকা ত্যাগ করে।
এরআগে, ঘোপ সেন্ট্রাল রোড ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের আঞ্চলিক কার্যালয়ে হামলা চালায় দুর্বত্তরা। শুক্রবার রাত সাড় ৯ টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। এসময় বোমা বিস্ফারণ ও ছুরিকাঘাতে আরাফাত মুনাফ লিটন (৪০) ও ফজলুর রহমান মিলন (৪২) আহত হয়েছে। আহতদর মধ্যে লিটনের অবস্থা আশংকাজনক। তাকে যশাের ২৫০ শয্যা জেনারল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি ঘোপ সেন্ট্রাল রােডের আব্দুল মুনাফ মনুর ছেলে। অন্যজন একই এলাকার জামাল মোল্লার ছেলে ফজলুর রহমান মিলনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
আহত মিলন জানিয়েছেন, ঘটনার সময় তারা ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের আঞ্চলিক কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এসময় ২৫ থেকে ৩০ জন সশস্ত্র দুর্বৃত্ত ওই অফিসে হামলা চালায়। দুর্বৃত্তরা প্রথমে শহর যুবলীগর সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আরাফাত মুনাফ লিটনকে ধরে এলাপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। পরে তারা চলে যাবার সময় ৫/৬ টি বোমা মারে। এসময় ২টি বোমার বিস্ফারণ ঘটে। বোমার বিকট শব্দ এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় লােকজন লিটনকে উদ্ধার করে হাসপাতাল আনে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় লিটনের অবস্থা আশংকাজনক। তার পিঠে ৪টি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আহত মিলনের ডান পায়ে সামান্য জখম হওয়ায় তাক প্রাথমিক চিাকৎসা দেয়া হয়েছে।
আহতের বড় ভাই দিলু জানান, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা এই হামলা চালিয়েছে।
এ ব্যাপারে যশাের কোতায়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল বাশার জানান, আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে,যদিও হত্যার ব্যাপারে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ করা হয়নি।