আজ - শুক্রবার, ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ১:৪৩

যশোরে কসাই মণি গংয়ের হাতে যুবক ছুরিকাহত – ছিনতাইয়ের প্রতিবাদের জের!

স্টাফ রিপোর্টার : যশোর সদর উপজেলার বারান্দি পাড়া কদমতলায় বিশাল (২৪) নামে এক যুবক ছুরিকাহত হয়েছে। ছিনতাইকৃত মোবাইল ফোন উদ্ধারের জের ধরে কয়েকদিন যাবৎ টার্গেট করে সবশেষে বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে বিশালকে ছুরিকাঘাত করেছে সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী কসাই মণির আশ্রিত এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা।

স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার বিশালের এক নিকটবন্ধুর মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় কসাই মণির আশ্রিত সন্ত্রাসীরা। পরে বিষয়টি বিশাল জানতে পেরে এলাকার মুরুব্বিদের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করে বন্ধুকে ফিরিয়ে দেয়।

ঘটনা এখানেই শেষ হবার কথা থাকলেও বাস্তবে তা আর ঘটেনি। প্রতিশোধ নিতে বুধবার ইসমাইল , দিপু ও চায়না সাগর সহ ২০/২৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল শতদল স্কুলের পাশে বিশালের নিজ বাসার সামনে বিশাল ও হৃদয়ের উপর হামলা চালায়। এসময় তাঁদের চিৎকার চেচামেচিতে লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা সটকে পড়ে। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে এলাকাবাসী ও আক্রান্তদের সাথে কথা বলেন এবং উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেন।

পুলিশ চলে যাওয়ার কিছু সময়পর পিস্তল, রামদা,ছুরি, গাছিদা, হকিস্ঠিক সহ বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র নিয়ে বিশাল ও হৃদয়ের বাড়িতে হানা দেয় সন্ত্রাসীরা। এ সময় বিশাল ও হৃদয় কে বাড়ীতে না পেয়ে তাঁদের বাবা মা কে ” হাত পা কেটে রাখার ” হুমকি দিয়ে চলে আসে।

সন্ত্রাসী ইসমাইল

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে বিশালের বাবা মা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ঠিক সেই মুহুর্তে মুঠোফোনে খবর আসে বিশালকে কদমতলায় ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। বিশালকে রক্তাক্ত অবস্থায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

সন্ত্রাসী চায়না সাগর।

তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া যায়নি। কদমতলার স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, সন্ধ্যা থেকেই সন্ত্রাসী ইসমাইল, দিপু ও সাগর ওরফে চায়না সাগর সহ ২০/২৫ জনের একটি দল ওৎপেতে বসেছিলো। পরে রাত ৮ টার দিকে বিশাল তাঁর কর্মক্ষেত্র থেকে ফেরার পথে তাঁর গতিরোধ করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় তাঁকে কয়েকজন জাপটে ধরে এবং ইসমাইল, দিপু ও সাগর ছুরিকাঘাত করে। বিশালের চিৎকারে লোকজন এগিয়ে গেলে বিশালকে ফেলে পালিয়ে যায় তাঁরা। তারপর বিশালকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। বিশাল পূর্ব বারান্দিপাড়া, শতদল স্কুলের পাশের আনছার আলীর ছেলে।

এ ঘটনায় আহত বিশাল (২৪) এর বাবা আনছার আলী বাদী হয়ে একই এলাকার হামিদুরের ছেলে সন্ত্রাসী ইসমাইল, মুন্নুর ছেলে সন্ত্রাসী দিপু ও কদমতলার সন্ত্রাসী চায়না সাগরের নামোল্লোখ করে অজ্ঞাত ২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন।

উল্লেখিত আসামিরা এলাকায় ক্যুখ্যাত মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী কসাই মণি’র আশ্রিত সন্ত্রাসী।

আরো সংবাদ