আজ - শনিবার, ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - রাত ৮:৩০

যশোরে মা-বাবাকে হত্যার দ্বায়ে ছেলের ফাঁসির আদেশ।

যশোরের চৌগাছায় মা-বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলে হাবিবুর রহমান মিলন ওরফে মিলন উদ্দীনকে (৩২)  ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। রোববার যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সপ্তম আদালতের বিচারক জুয়েল অধিকারী এ রায় প্রদান করেন।

এসময় আদালতে এপিপি অ্যাড. সৈয়দ কামরুল ইসলাম ও আসামি হাবিবুর মিলন কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। আদালতে বাদী হুমায়ন কবির ও তার পরিবারের সদস্য এবং উৎসুক জনতা উপস্থিত ছিলেন।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৫ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান মিলন (৩২) পিতার কাছ থেকে নেশার টাকা না পেয়ে পিতা মহির উদ্দীন (৬২) কে ধারালো গাছি দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এসময় তার মা আনোয়ারা বেগম (৫৫) মিলনকে বাধা দিলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তারা দুজনই ঘটনাস্থালে মৃত্যুবরণ করেন। সে সময় এলাকাবাসী মিলনকে আটক করে থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এ ঘটনায় মিলনের ছোট ভাই হুমায়ন কবির বাদী হয়ে চৌগাছা থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ আটক মিলনকে ১৬১ ধারায় জবানবন্দী গ্রহন করলে মিলন তার মা-বাবাকে হত্যার কথা স্বীকার করে। ২৬ ডিসেম্বর পুলিশ মিলনকে আদালতে পাঠালে সে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রহমানের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীতে মা-বাবাকে কুপিয়ে হত্যার কথা স্বীকার করে। এঘটনায় আদালত তাকে জেল হাজতে আটক রাখার নির্দেশ দেয়।

পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই এসএম এনামুল হক তদন্তপূর্বক সাক্ষীদের জবানবন্দী রেকর্ড করে ২০২০ সালের ৩ জুন তারিখে মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করেন। পরবর্তীতে মামলাটি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে পাঠানো হয়। এরপর মামলাটি বিচারের জন্য অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সপ্তম আদালতে পাঠানো হয়।  স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্য গ্রহন ও দীর্ঘ শুনানী শেষে রোববার বিচারক জুয়েল অধিকারী মামলার রায়ে একমাত্র আসামি হাবিবুর রহমান মিলন ওরফে মিলন উদ্দীনকে ফাঁসির আদেশ প্রদান করেন।

মামলা পরিচালনাকারি এপিপি অ্যাড. সৈয়দ কামরুল ইসলাম বলেন, আসামির শাস্তির জন্য নিরলস পরিশ্রম করেছি। মামলার রায় পেয়ে ভালো লেগেছে। একজন অপরাধীকে শাস্তির আওতায় আনতে পেরে খুশি হয়েছি।

আরো সংবাদ