খানজাহান আলী 24/7 নিউজ : লকডাউনের দ্বিতীয় দিন আজ। যশোরে বিধিনিষেধ মানার ক্ষেত্রে দেখা গেছে ‘ঢিলেঢালা’ভাব। আর তা মানাতেও খুব বেশি কড়াকড়ি দেখা যায়নি। একমাত্র গণপরিবহন ছাড়া অনেকটা স্বাভাবিক সময়ের মতোই রাস্তায় চলাচল করছে সব শ্রেণী-পেশার মানুষ ও যানবাহন। বেশিরভাগ মানুষকেই করোনা নিয়ে তেমন সচেতন বা উদ্বিগ্ন দেখা যায়নি। লকডাউন কার্যকরে প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কোথাও কোথাও তৎপর থাকলেও অনেক এলাকায় এদের তেমন কার্যক্রম কিংবা কড়াকড়ি দেখা যায়নি। শহর থেকে অল্প নিকটবর্তী প্রায় সকল ছোট বড় বাজারে লকডাউনের কোন অস্তিত্বই চোখে মেলেনি। তবে চলমান লকডাউনে উপার্জন কমে যাওয়ার শংকায় নিম্ন আয়ের মানুষের কপালে চিন্তার ভাঁজ।
করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার এই লকডাউন দিলেও এখনও যশোরের প্রধান কয়েকটি স্থান ব্যাতীত দেখা যায়নি তেমন কোনো পরিবর্তন। মূলত যশোর শহরের মনিহার- দড়াটানা পর্যন্ত জোরদার রয়েছে পুলিশী টহল। পাশাপাশি প্রতিটি উপজেলার কয়েকটি বিশেষ বিশেষ স্থান ব্যাতীত স্থায়ীভাবে পুলিশী অবস্থান না থাকায় এসব এলাকার বাইরে জনমনে নকডাউনের তেমন প্রভাব পড়েনি।
শুধু গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও ব্যক্তিগত যান বা ইজিবাইক/রিকশার দখলে ছিলো যশোরের প্রধান সড়কগুলো। রাস্তায় মানুষজনও কম না। মাস্ক ছাড়াই অনেকে ঘুরছেন। লকডাউন উপেক্ষা করে সাধারণ মানুষ প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বেরোচ্ছেন। সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে অনেককে। ছোটখাটো দোকানপাটও থাকছে খোলা।
তবে লকডাউনে দুশ্চিন্তার শেষ নেই দিন-আনা দিন-খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের। লকডাউন আরো বাড়বে কিনা তা নিয়েও শংকিত তারা। গতকাল লকডাউনের প্রথম দিনে যশোর শহরে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় প্রশাসনের তৎপরাতায় ভ্যান/রিকশা উল্টে রাখতে দেখা গেছে।
তবে গোটা শহর জুড়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ছিলো চোখে পড়ার মতো। এমনকি শহরের বাইরে পুরো জেলা জুড়ে পুলিশের টহল দিতে দেখা গেছে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে প্রতিটি ছোট-বড় বাজার তাৎক্ষনিকভাবে জনশুণ্য হয়ে পড়লেও পুলিশের টহল গাড়ি শহর থেকে বেরহলেই আবারো খুলছে দোকানপাটের সাঁটার। জড় হচ্ছে লোকজন।
এদিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খুলতে চান ব্যবসায়ী ও দোকান কর্মচারীরা। লকডাউন প্রত্যাহারের দাবী জানান তারা।