রাস্তা মাপের কাজে ইউপি সদস্যকে অবহিত না করায় ক্ষোভে ফেঁটে পড়েন তরিকুল মেম্বার । ফায়দা লুটছেন শহীদ।
বিশেষ প্রতিনিধি: যশোর সদর উপজেলার আরবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম খোলাডাঙ্গায় অবরুদ্ধ বলে গুজব রটাচ্ছে একটি মহল। শনিবার (১১মে) আরবপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড খোলাডাঙ্গায় রাস্তা পরিমাপের কাজ করতে গেলে ঐ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তরিকুল ইসলাম ব্যক্তিস্বার্থে এ গুজবের রটনা করেন।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকালে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম কালিম ও তহিদুল সহ লোকজন নতুন রাস্তা তৈরির জন্য মাপ দিতে যান। বেশ কয়েকটি রাস্তার পাকা করা হবে আগামী বাজেটে। সে জন্য টেন্ডার আহবান করা হবে। এ কাজ শেষে কর্মীরা চলে যান এবং শাহারুল সকাল ১০ টার দিকে ওই এলাকার যুব মহিলা লীগের নেত্রী লাভলীর বাড়ি যান। প্রচন্ড গরমে ক্লান্ত হয়ে তিনি পানি পান করতে কালিম ও তহিদুল সহ ওই বাড়ি প্রবেশ করেন। হটাৎ করেই তরিকুল মেম্বারের স্ত্রীসহ এলাকার ৬/৭ জন মহিলা পুরুষ ঝাড়ু হাতে লাভলীর বাড়ীর সামনে হট্টগোল করতে থাকে। এসময় কালিম বেরিয়ে এসে তাঁদের কাছে সমস্যার কথা জানতে চান জবাবে তাঁরা বলেন তরিকুল কে রাস্তা মাপার সময় কেন ডাকা হলো না? লাভলীকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে তরিকুল মেম্বারের স্ত্রী । এ সময় লাভলী উত্তেজিত হয়ে তরিকুল মেম্বারের স্ত্রীকে ধাক্কাদিলে তিনি পড়ে গিয়ে সামান্য ব্যাথা পান। বিশৃংখল পরিস্থিতি দেখে শাহারুল ইসলাম সবার সাথে কথা বলে পরিস্থিতি শান্ত করে চলে আসেন।
দুপুরের পর ঘটনাস্থলে এসে সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শহীদুজ্জামান শহীদ ও তরিকুল মেম্বার শাহারুল ইসলামের সাথে লাভলীর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে এবং শাহারুল ইসলাম অবরুদ্ধ উল্ল্যেখ করে বিভিন্ন অন লাইন গণমাধ্যমে মিথ্যা মানহানিকর তথ্য সরবরাহ করেছে।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শহীদুজ্জামান শহীদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। ঘটনার সময় আমি শহরে ছিলাম আমি নিজে কিছু দেখিনাই। আগামি ইউপি নির্বাচনে আমি চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মূলত সে কারনে লোকমুখে শুণে কিছু বক্তব্য রেখেছি।
শাহারুল ইসলাম বলেন, আমি রোজা ছিলাম না। শনিবার প্রচন্ড রোদ ছিল। প্রতিবেশি যুব মহিলা লীগের নেত্রীর বাড়িতে কালিম ও মহিদুল সহ পানি পান করতে যায়। এই বিষয়টি ভালভাবে নেয়নি তরিকুল ইসলাম ও স্ত্রীসহ তার লোকজন। তারা নানা অপবাদ সূচক কথা বলেতে থাকে। তরিকুল আমাকে ফাঁদে ফেলানোর চেষ্টা করেছিলো।তরিকুল ইমলামের সাথে তার সম্পর্ক ভাল না। তরিকুল মাদকাসক্ত। তার পরিষদের সকলেই তাকে ভাল চোখে দেখেন না। তার এলাকার উন্নয়ন কাজের জন্য সেখানে গিয়ে ছিলাম। কিন্তু তাকে সাথে নেয়া হয়নি। এই কারণে তার রাগ। তা ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সভায় তাকে ডাকা হয়না। সে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় নানা ভাবে ষড়যন্ত্র করে আসছে। তিনি আরো জানান, শনিবার সকালে ওই এলাকার বেশ কয়েকটি রাস্তার মাপ দেয়া হয়। এলজিএসপির কাজ হচ্ছে ইউনিয়নে এখন পাকা করণ হবে।
আরোও পড়ুন : শহীদ মেম্বার বলে কথা! বুকভরা বাওড়ে বালি উত্তোলন চলছেই।