আজ - শুক্রবার, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - রাত ১০:১৬

যশোরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি শুরু, চলছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা

যশোরে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে নতুন পদ্ধতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার। সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক স্কুল-কলেজে স্বাস্থ্য-সুরক্ষা ও নিরাপত্তার বন্দোবস্ত চলছে। ইতিমধ্যে বন্ধ থাকা ক্লাসরুম, ধুলো পড়া ব্লাকবোর্ড ও আঙিনা পরিষ্কারে নেমেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। চলছে টয়লেট পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ও ধোঁয়ামোছাও। বলা যায়, সরকারের নির্দেশ মাত্রই স্কুল-কলেজ যাতে খোলা যায় যশোরে তারই সার্বিক প্রস্তুতি চলছে।

যশোর শিক্ষা বোর্ড মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ লে. কর্নেল গোলাম মোস্তফা জানিয়েছেন, গাইড লাইন অনুযায়ী তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সার্বিক প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। নির্দেশনা মোতাবেক প্রতিষ্ঠান খোলার সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য একটি কমিটিও করা হয়েছে।

যশোর জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক একেএম গোলাম আযম জানান, স্কুল খোলার যাবতীয় প্রস্তুতি তারা শুরু করেছেন। এখন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলছে। স্কুল খোলার নির্দেশ পেলে গাইডলাইনে নির্দেশিত স্থানে জীবাণুনাশক ছিটানো শুরু করবেন।

জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) স্কুল-কলেজ খোলার জন্য প্রস্তুতি নিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশনা দিয়েছে। আর সেই নির্দেশনার আলোকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতিতে নেমেছে সংশ্লিষ্টরা।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অতিমারি পরিস্থিতি বিবেচনায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকারের তরফ থেকে একটি গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবাইকে সাথে নিয়ে এ গাইডলাইন অনুযায়ী আগামী ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ নিরাপদ-সুরক্ষিত ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। যাতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ পাওয়া মাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া যায়।

মাউশির নির্দেশনায়, শুধু করোনাকালীন সমস্যা মোকাবেলা নয়, বরং মুজিববর্ষ উপলক্ষে এখনই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্থায়ীভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যসম্মত ও আনন্দময় প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে।

জানা গেছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দৃশ্যমান স্থানে ‘নো মাস্ক নো স্কুল’ নির্দেশনা টাঙাতে বলা হয়েছে। প্রতিটি শিক্ষার্থীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে আনন্দঘন শিখন পরিবেশ নিশ্চিত করতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এমনকি শারীরিক দূরত্ব মেনে শ্রেণিকক্ষ ও প্রতিষ্ঠান চত্বরে খোলা জায়গায় ১ মিটার বা ৩ ফুট দূরত্বে শিক্ষার্থীদের বসার পরিবেশ সৃষ্টির ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। এমনকি বেঞ্চে বসার ক্ষেত্রেও ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এসব ছাড়াও নির্দেশনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পুরো এলাকা জীবাণুমুক্ত রাখার কথা বলা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশের সময় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্টাফদের স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণের জন্য কন্টাক্টলেস থার্মোমিটার স্থাপনের জন্যও বলা হয়েছে।

এদিকে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুাযায়ী ১২ বছরের বেশি সবার জন্য মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক, প্রতি ৩০ জন ছাত্রীর জন্য একটি টয়লেট ও ৬০ জন ছেলের জন্য একটি টয়লেট নিশ্চিতের চেষ্টা করার গাইড লাইন দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রতিটি টয়লেটে পানি, সাবানসহ অন্য স্যানিটারি সরঞ্জাম সরবরাহের পরিকল্পনা রাখতে হবে।

আরো সংবাদ