প্রকাশিত : » ০৪ জানুয়ারি ২০২০, সময়: » ৪:৪৯ অপরাহ্ণ, পঠিত: » 389 views
সাগর জাহান : যশোর শহরের শংকরপুর এলাকার এক কিশোরী অপহরণ ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার ও ধর্ষণের আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ। খুলনা, গোপালগঞ্জ ও যশোরে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ভিকটিম কিশোরীকে দুই দফায় নয়জন ধর্ষণ করে।আজ শনিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, ভিকটিমের বন্ধু যশোর শহরের শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে আল আফসান পুষ্প (১৫), খড়কি হাজামপাড়ার আব্দুর রশিদের ছেলে রায়হান (২০) ও সোহরাব হোসেনের ছেলে শাকিল (২০)।
যশোর পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম জানান, গত ১ নভেম্বর রাত সাড়ে নয়টার দিকে ভিকটিম রিকশাযোগে শহরের বকচর থেকে মণিহার এলাকায় যাচ্ছিল। বকচর র্যাব ক্যাম্পের অদূরে পৌঁছালে কয়েকজন তাকে চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে যায়। এরপর অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে চাকু ঠেকিয়ে মেয়েটিকে ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার ভয় দেখায়। এরপর তাকে ধর্ষণ করা হয়। পরে অসুস্থ অবস্থায় মেয়েটিকে তারা যশোর জেনারেল হাসপাতাল এলাকায় ছেড়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় ৩ নভেম্বর মেয়েটির মা চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো তিনজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। ডিবি ও কোতয়ালী থানা পুলিশের তদন্তে আসামিদের শনাক্ত করা হয়। এরপর ডিবি পুলিশ গত ২ জানুয়ারি খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকা থেকে মামলার প্রধান আসামি পুষ্পকে গ্রেফতার করে। তার দেওয়া তথ্য মতে গোপালগঞ্জ থেকে রায়হান ও যশোর শহরের খড়কি এলাকা থেকে শাকিল নামে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেখানো মতে ঘটনাস্থল থেকে ধর্ষণের আলামত উদ্ধার করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম আরো জানান, মামলার প্রধান আসামি পুষ্পর সঙ্গে ভিকটিমের বন্ধুত্ব ছিল। একটি কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা পুষ্পর সহযোগিতায় ওই কিশোরীকে অপহরণ করে। এরপর শহরের খড়কি ডাক্তারবাড়ির পেছনে একটি বাগানে নিয়ে তাকে জোরপূর্বক মাদক সেবন করিয়ে পাঁচজন পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে তাকে অসুস্থ অবস্থায় শহরের লোন অফিসপাড়ায় সন্ত্রাসী ভাগ্নে হৃদয়ের বাড়িতে রেখে আসে তারা। সেখানে ভাগ্নে হৃদয়সহ আরো চারজন রাতভর তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরদিন সকালে অসুস্থ ভিকটিমকে তারা হাসপাতাল এলাকায় ফেলে চলে যায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম জানান, ধর্ষণকারীদের সবাইকে শনাক্ত করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে গ্রেফতার করে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অন্যদের মধ্যে ডিবি ওসি মারুফ আহম্মেদ, কোতয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, ইনসপেক্টর আহসানউল্লাহ চৌধুরী, এসআই শামিম আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।