নিহতরা হলেন, ইজিবাইক চালক যশোর সদরের সুলতানপুরের সাইফুলের ছেলে ইমরান হোসেন (২৭), বাঘারপাড়ার যাদবপুরের হেলালের জমজ দুই ছেলে হাসান ও হোসাইন (২), একই গ্রামের বাবুল মুন্সির স্ত্রী মাহিমা খাতুন (৩০) এবং ফাহিমা (৩০), রাহিমা (৭) ও অন্য একজন অজ্ঞাত। আহত সোনিয়া (৩০) তার মেয়ে খাদিজা (৭)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার যশোর থেকে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী লোকাল বাস (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৩৮৭৬) সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে তেঁতুলতলা বাজারে পৌঁছায়। এ সময় বাজারের প্রথম স্পিডব্রেকার অতিক্রম করার পর ইজিবাইকের পেছনে বাসটি ধাক্কা দিলে চালকসহ ইজিবাইকের ৭ জন যাত্রী চাপা পড়েন। স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা হতাহতদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী জাহাঙ্গীর হোসেন নামে এক মুদি দোকানি বলেন, ইজিবাইটিও যশোর থেকে আসছিল। স্পিডব্রেকার অতিক্রম করে বাইকটি ডানদিকের তেজরোল গ্রামের সড়কে প্রবেশের জন্য বাঁক নেয়। এ সময় পেছনে থেকে বাসের ধাক্কা লাগে। বাসের নিচে চাপা পড়ে ইজিবাইকটি।
স্থানীয় মুদি দোকানী বলেন, যশোর থেকে ছেড়ে যাওয়া মাগুরাগামী বাস একটি ইজিবাইক চাপা দেয়। পরে স্থানীয় বাসিন্দা, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে।
নিহতদের স্বজনরা জানান আহত খাদিজার টনসিল অপারেশন করার জন্য পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ইজিবাইক ভাড়া করে যশোরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে বাস চাপায় একই পরিবারের ৫ জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় কোন এলাকায় শোকের মাতম চলছে।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরম্নরি বিভাগের চিকিৎসক আসিফ মোহাম্মদ আলী হাসান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন বলেন, লেবুতলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ইজিবাইক চালকসহ সাতজন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে একই পরিবারের ৫ জন রয়েছে। বাস ও ইজিবাইকটি পুলিশ জব্দ করা হয়েছে।
এদিকে, সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের পাঁচজনসহ ৭ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় হাসপাতাল চত্বরে নিহত স্বজনদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে। রাত সাড়ে ৯ টার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান। এ সময় তিনি নিহতদের দাফন ও আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের ঘোষণা দেন। একইসাথে তিনি নিহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন।