স্টাফ রিপোর্টার।। যশোরে নয় প্রতারকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে মামলা হয়েছে। ১৮ আগস্ট রোববার যশোরে বিজ্ঞ সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে এই মামলা করা হয়। মামলা নং ১১/২০১৯। ওই দিনই আদালত মামলটি আমলে নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে যশোর সদরের সিঙ্গিয়া হাফিজিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার আব্দুল হান্নান, সহ সুপারিটেনডেন্ট শহিদুল ইসলাম, শিক্ষক কোবাদ আলী, মাসুমা সুলতানা, লুসিয়ারা খানম, মাদ্রাসার সভাপতি ও যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক সমাজের কথার ক্রাইম রিপোর্টার এস এম লাবুয়াল হক রিপন, যশোরের সাবেক শিক্ষা অসিসার ড. সাধন কুমার বিশ্বাস, রূপালী ব্যাংকের যশোর শাখার এজিএম ইমদাদুল হক নূরানী, জেলা শিক্ষা অফিসার আমিনুল ইসলাম টুকু।
মামলার বাদী যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া এলাকার আনছার আলীর ছেলে এবং সিঙ্গিয়া হাফিজিয়া দাখিল মাদ্রাসার দাতা সদস্য কওসার আলী।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ১৯৯১ সিঙ্গিয়া হাফিজিয়া দাখিল মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা হয়। একই বছর মাদ্রাসাটি এমপিও হয়। ২০০৮ সালে ৯ মার্চ বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড এক তদন্তে মাদ্রাসার একাডেমিক স্বীকৃতি ও এমপিওভুক্তির কাগজ পত্র চায়। কিন্তু মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। ২০০৯ সালে ২৪ অক্টোবর মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি সুপার আব্দুল হান্নান, সহকারী শিক্ষক মাসুমা সুলতানাকে বরখাস্ত করেন। ২০১০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি যশোর জেলা শিক্ষা অফিসার এক তদন্তে উল্লেখ করেন, মাদ্রাসার সুপার ও তিনজন সহকারী শিক্ষকের এমপিও ভুক্তির কোন কাগজপত্র নেই। তারা কোন কাগজপত্র দেখাতে পারিনি। এরপর ২০১১ সালের ১৩ জানুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর একপত্রে উল্লেখ করেন, তদন্তে সুপার ও তিনজন শিক্ষকের এমপিও ভুক্তির কোন কাগজ পাওয়া যায়নি। ২০১২ সালের ৫ সেপ্টম্বর যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাদ্রাসার সহ-সুপার শহিদুল ইসলামের এমপিও বাতিলসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিপ্তরকে অবহিত করেন।
কিন্তু এসব দুর্নীতির বিষয়ে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, মাদ্রাসার তৎকালীন সুপার শহিদুল ইসলামের এমপিও’র ইনডেস্ক নম্বর টি-১৪৬৮। তার এই ইনডেক্স ব্যবহার করে মাদ্রাসার অপর এক ভুয়া সহ সুপার শহিদুল ইসলাম নিজে বেতন-ভাতা উত্তেলন করে আসছেন।
তার একাজে সহযোগিতা করছেন রূপালী ব্যাংক মিস্ত্রিখানা সড়কের যশোর শাখার ম্যানেজার। আসামিরা পরসম্পদ লোভী, জাল-জালিয়াতিকারী ও জাল দলিল ব্যবহারকারী এবং সরকারি অর্থ আত্মসাৎকারী। আর এসব অনিয়মের মাধ্যমে দুর্নীতির সহযোগিতা করে যাচ্ছেন মাদ্রাসার সভাপতি এস এম লাবুয়াল হক রিপন। তারা সকলে অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে বেতন-ভাতা অব্যহতভাবে উত্তোলন করে আসছেন।