আজ - শুক্রবার, ১০ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৭শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - রাত ১০:৪৫

যশোর ঈদগাঁহে ঈদের নামাজ সম্পুর্নের আগেয় মুসল্লিদের ছুটাছুটি

করোন ভয়াবহতার কারনে ২ বছর যশোরের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উৎসবের আমেজে ঈদের নামাজ আদায় করতে এসেছিলেন যশোর কেন্দ্রিয় ঈদগাহে।চরম অব্যস্থাপনায় দুর্ভোগে পড়েন মুসল্লিরা। পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা না থাকায় প্রাকৃতিক দূর্যোগের কবলে পড়েন মুসল্লিরা। মোনাজাত ছাড়া দ্রুত গতিতে ঝড় বৃস্টি থেকে বাচতে নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটাছুটি করতে হয়েছে তাদের। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌছায় যে ইমাম খুদবা পড়ছেন, আর মুসল্লিরা যে যার মত ছুটেছেন নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে। অনেকে মোনাজাতে ও অংশ নিতে পারেননি। এবারো কারো কপালে জোটেনি ঈদের কোলাকুলি। এতে হাজারো ধর্মপ্রাণ মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

নামাজে আসা মুসল্লিদেরা অভিযোগ করেন যশোর কেন্দ্রিয় ঈদগাহে ঈদের জামাতকে কেন্দ্র করে যে ব্যবস্থাপনা বিগত দিনে ছিলো, তার কিছুই করেনি যশোর পৌরসভা। এমনকি ছামিয়ানাটা টাংগানো হয়নি।আবহাওয়া অধিদপ্তর আগেই ঈদে দিন ঝড় বৃষ্টি হতে পারে বলে আভাস দিয়েছিলো। কিন্তু সেটিও আমলে নেয়নি ঈদগাহে ঈদের নামাজের দ্বায় দায়িত্ব বহন করে যশোর পৌর মেয়র।উৎসবের আমেজে ঈদের পরিপূর্ণ নামাজ আদায় করতে পারেন নায় যশোর শহরবাসী।

 

ঈদগাহে মঙ্গলবার সকাল আটটা ১৫ মিনিটে ঈদুল ফিতরের জামাত শুরুর কথা ছিলো। কিন্তু ঝড় কালো মেঘে ডাকা আকাশের কারনে ১৫ মিনিট আগেই শুরু হয় জামাত। দেখা যায় মাঠের অর্ধেকের কম অংশে ত্রিপল বিছিয়ে রেখেছে কর্তৃপক্ষ। বৃষ্টির ঘনঘটা শুরুর আভাস পেয়েই আটটার পরই নামাজ শুরু হয়। অনেকে ত্রিপল না পেয়ে ঘাসের উপর নামাজ শুরু করেন। এক রাকাত নামাজ শেষ না হতেই ঝড়-বাতাস শুরু হয়। প্রচন্ড বাতাসে মাঠে বিছিয়ে দেওয়া বালিতে মুসল্লিদের চোখে আঘাত হানে ফলে শুরু হয় নামাজ থুয়ে মুসল্লিদের দ্বিক বিদ্বিক ছুটাছুটি। সালাম ফেরানোর সাথে সাথে শুরু হয় মুসল ধারে বৃষ্টি আসে । সালাম ফেরানোর পরই যে যার মত দৌড় শুরু করেন। কেউ কেউ এ দোকানে সে দোকানের মধ্যে আশ্রয় নেন। অন্যদিকে ইমাম খুদবা চালিয়ে যান। তিন মিনিটের মধ্যেই পুরো ঈদগাহ মানুষ শূন্য হয়ে পরে। মুসল্লিরা যে যার মত নিরাপদ আশ্রয়ে অবস্থান নেন। এরমধ্যে অধিকাংশ মুসল্লিই বৃষ্টিতে ভিজে বাড়ি ফেরেন।
যশোর ইদগাঁহে ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়তে আসা বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ সমালোচনা ও পৌর মেয়রকে ধিক্কার জানাতে দেখা যায়।নামাজ শেষে মানুষ বাড়ি ফিরেয় মেতে উঠেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সমালোচনায়। যশোর জেলা কৃষক লীগের সহ সভাপতি আব্দুল মতলেব বাবু ফেসবুকে মুসল্লিদের ভো দৌড়ের ছবি দিয়ে লিখেছেন সাবেক মেয়র রেন্টু চাকলাদারের ২০২০ এর সম্পৃর্ণ ব্যবস্থাপনা।গ্রামের কাগজের সাংবাদিক এম এ মানিক সমালোচনার মুখর মুসল্লিদের একটি ভিডিও আপলোড করে তার পেইজে।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত