বিশ্ব ইজতেমার জোবায়ের পন্থীর সদস্য হাফেজ সাইফুল ইসলামকে মারপিট করে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে সাদপন্থীর ২৬ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। সোমবার ভুক্তভোগী যশোর নতুন উপশহরের সারথী মোড় এলাকার মৃত আব্দুল হকের ছেলে হাফেজ সাইফুল বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। যশোর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রহমত আলী অভিযোগে তদন্ত করে সিআইডিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলো, যশোর উপশহর বি-ব্লকের মিজানুর রহমান ওরফে ফেন্সি মিজান, পুলিশ লাইন টালিখোলা এলাকার ইয়ামিন হোসেন, এফ-ব্লকের শরিফুল ইসলাম তাজু, উপশহর মার্কাস মসজিদের সাদপন্থীদের খাদেম আবুল হাশেম, মোল্যাপাড়ার লিটু, প্রিন্স, ই-ব্লকের আব্দুল আলিম, কেসমত নওয়াপাড়ার আব্দুল সালাম ওরফে বক্স সালাম, শেখহাটির নেওয়াজ মোর্শেদ, মার্কাজ মসজিদ শিক্ষক কোয়ার্টারে বাসিন্দা মাওলানা আব্দুর রহমান, পূর্ববারান্দিপাড়ার ডাক্তার ইকবাল, মাঠপাড়ার অবুল কালাম, মোজাফ্ফর হোসেন, পশ্চিম বারান্দিপাড়ার ইব্রাহিম, চুড়িপট্টির খাব্বার হোসেন, আরএন রোডের উজির আলী, আল ইমরান রিপন, সমজিদ গলির হুমায়ুন কবির, শংকরপুর বটতলা এলাকার হাসানুজ্জামান জনি, বেজপাড়া চোপদারপাড়ার আকাশ, নওয়াপাড়ার আব্দুল রাজ্জাক, সদরের নুরপুরের তরিকুল ইসলাম, বাহাদুরপুরের আজিজুর রহমান মানিক ও খোলাডাঙ্গা কদমতলার রুহিন খান।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে সাদপন্থী সদস্যরা টঙ্গী ইজতেমা মাঠে হামলা চালিয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটায়। এর প্রতিবাদে যশোরে সাদপন্থীদের বিচার ও শাস্তির দাবিতে আলমীসুরা (জোবায়ের গ্রুপ) সদস্যরা প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ করে। এ কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে যশোর জনতা হাসপাতালের ইমাম আলমীসুরা হাফেজ সাইফুল গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা গত ২২ ডিসেম্বর হাফেজ সাইফুলের শহরের বাবলাতলা এলাকায় শ্বশুর বাড়ি গিয়ে খুন জখমের হুমকি দিয়ে আসে। এ ঘটনায় হাফেজ সাইফুল কোতয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দেন। এতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা গত ২৩ ডিসেম্বর সকালে নতুন উপশহর বি ব্লকের বাচ্চু ইলেকট্রিকের দোকানে গিয়ে হাফেজ সাইফুলকে মারপিট করে হত্যার চেষ্টা চালায়। চিৎকারে আশেপাশে লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত হাফেজ সাইফুলকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিছুটা সুস্থ হয়ে তিনি আদালতে এ মামলা করেন।