‘আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’ মুজিববর্ষ উপলক্ষে সারা দেশের ন্যায় যশোরের শার্শা উপজেলায় এ পর্যন্ত ১২৭টি ঘর নির্মিত হয়েছে এবং তা ইতিমধ্যেই গৃহহীন উপকারভোগীদের জন্য বরাদ্দ করা হয় একটি করে ঘর।
দেশের বিভিন্ন জায়গায় যখন আশ্রয়ণ প্রকল্পের কাজ নিয়ে চলছে তোলপাড়। সেখানে শার্শায় সেই আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর যেন একটা রোল মডেল। গৃহহীনদের জন্য যা স্বপ্নের বাড়ি। চারপাশে ইটের দেয়াল এবং ছাদে লাল, সবুজ ও নীল রঙের টিনের ছাউনি। ভূমিহীনরা কখনো স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি যে তারা জীবনের একটা পর্যায়ে এসে এখন একটি পরিপূর্ণ নতুন ঘর পাবেন। দীর্ঘদিন তারা অন্যের বাড়িতে দুঃখে কষ্টে আশ্রিত ছিলেন। এখন তারা প্রত্যেকে উঠেছেন নিজেদের স্বপ্নের নীড়ে।
গৃহহীনদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের ঘরগুলি দেখতে এবং উপকারভোগীদের খোঁজ-খবর জানতে শার্শা উপজেলায় পরিদর্শনে আসেন যশোর জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান।
তিনি উপজেলার পুটখালী ইউনিয়নে ১০টি এবং বেনাপোল ইউনিয়নে ৩৯টি ঘর পরিদর্শন করেন। এর মধ্যে কোনোটিতেই ক্ষতি সাধন না হওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
তিনি উপকারভোগীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের খোঁজ-খবর নেন। এ সময় অনেকে আবেগ আপ্লুত হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের জন্য দোয়া কামনা করেন। পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক ঘরে ওঠা ওইসব পরিবারের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ত্রাণ সামগ্রী তাদের হাতে তুলে দেন।
এ সময় উপকারভোগীরা বলেন, এতদিন সবাই গৃহহীন হয়ে অন্যের বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দিনাতিপাত করে আশ্রিত ছিলেন। এখন তারা প্রত্যেকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে বেজায় খুশি। তাদের চোখে মুখে যেন হাসির ঝিলিক। মুজিববর্ষে তাদের সবার ভাগ্য বদল হয়েছে।
স্বপ্নের নতুন ঘর পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি তারা প্রত্যেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, শেখের বেটি (শেখ হাসিনা) কারণে আমরা নতুন ঘর পাচ্ছি। কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি একটি পাকা ঘর পাব। কিন্তু শেখের বেটির কারণে আমাদের সেই কাঙ্খিত স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এখন মরার আগে কিছুদিন শান্তিতে বাঁচতে পারব।
পরিদর্শনের সময় জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ছিলেন শার্শা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাসনা শারমিন মিথি, পুটখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাষ্টার হাদিউজ্জামান, বেনাপোল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বজলুর রহমান, পুলিশ প্রশাসনসহ এলাকাবাসী।