নৃশংস এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে যশোরের সীমান্ত উপজেলা চৌগাছার বাঘারদাড়ী গ্রামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন-হত্যাকারী পার পাবে না। খুনি শনাক্ত ও গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ শুরু করেছে।
আজ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে নিহতের মেয়ে তানজিলা খাতুন (২২) তার মায়ের ব্যবহৃত একটি ছোট টর্চ লাইট ও স্যান্ডেল দেখতে পান। মাটিতে টেনে নেয়ার মতো ছাপ তার নজরে পড়ে। তিনি জানান, মাটিতে টানা-হেঁচড়ার ছাপ দেখতে পেয়ে সন্দেহ হয়। এগিয়ে দেখতে পান তাজউদ্দীনের বাড়ির ভেতর টিউবওয়েলের ময়লাযুক্ত পানির গর্তের ভেতর তার মায়ের নিথর মরদেহ পড়ে আছে। এ সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। চিৎকার দেন। তার আর্তচিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসে। খবর দেয়া হয় চৌগাছা থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে যশোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।’
তানজিলা খাতুনের ভাষ্যমতে-‘রোববার সন্ধ্যার পর মা একটি টর্চলাইট নিয়ে কাজের কথা বলতে প্রতিবেশী আশিকুর রহমানের বাড়িতে যান। এরপর তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। নিকটবর্তী আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতেও খবর নেন তারা। আজ সেই মাকে পাওয়া গেল মৃত অবস্থায়। তবে প্রতিবেশিদের কেউ কেউ জানিয়েছেন-অভাব-অন্টনের সংসারে টিভি ছিল না। তাই প্রায় দিন সন্ধ্যায় প্রতিবেশির বাড়িতে টিভি দেখতে যেতেন বিধবা রাবিয়া বেগম।
নিহতের ছেলে আল আমিন হোসেন জানান, ‘আমার মাকে দীর্ঘদিন যাবৎ নানাভাবে উত্যক্ত করে আসছিল প্রতিবেশী তাজউদ্দীনের ছেলে তামিম হোসেন (২৫)। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি আমাদের সাথে তার ঝগড়া-বিবাদও হয়। ঘটনার দিন মা বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর সে তার পিছু নেয়। পূর্ব বিবাদের জের ধরে সেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে। ঘটনার পর থেকে তামিম হোসেন পলাতক রয়েছে। মায়ের লাশের বিভিন্ন স্থানে জখমের দাগ রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।’
চৌগাছা থানার ওসি পায়েল হোসেন সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শ করেছি। হত্যায় জড়িত যেই হোক, তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।