যশােরে ১৭ লাখ টাকা ছিনতাইয়ে জড়িত আটজনের মধ্যে মােস্ট ওয়ান্টেড জামাই রাজ্জাককে আটক করতে পুলিশের নানামুখি অভিযান চলছে। বরিশালে বাড়ি যশােরের বারান্দীপাড়ার জামাই রাজ্জাকের দখলে ডাকাতি সাড়ে চার লাখ টাকা রয়েছে। সে বার বার অবস্থান পাল্টানােয় পুলিশের অভিযান ফলপ্রসু হচ্ছেনা। সে আটক হলে ডাকাতির ১৭ লাখ টাকার হিসেব মিলবে বলে তদন্ত কর্মকর্তার দাবি।
এছাড়া ডাকাতিতে রাজনৈতিক গডফাদারের সংশ্লিষ্টতার লিংকগুলাে নিয়ে এখনাে তদন্ত চলছে। ২৯ সেপ্টেম্বর ঘটনার পর পুলিশের শতাধিক অফিসার টানা দু’ দিন প্রথম দফা অভিযান চালিয়ে পাঁচ ডাকাতকে আটক করতে সক্ষম হন। উদ্ধার হয় দু লাখ ৪৮ হাজার পাঁচশ’ টাকা। আটকদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে দ্বিতীয় দফার অভিযানে ৫ অক্টোবর ভােরে ঢাকার আদাবর শান্তির বিল এলাকায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয় মামলার প্রধান আসামি ইয়াসির আরাফাত রাজুকে। এছাড়া, যশোর ক্যাম্পের সদস্যরা ৪ অক্টোবর নড়াইল জেলার লােহাগড়া উপজেলার কালনা ফেরিঘাট বাসস্ট্যান্ড থেকে অপর আসামি সােহেল শেখকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তবে ডাকাতি ঘটনায় উঠতি সন্ত্রাসী যােগাড় করে মিশন সাকসেস করার দায়িত্ব নেয়া জামাই রাজ্জাক আটক এড়িয়ে চলছে।
গ্রেফতারকৃত অপরাধীদের স্বীকারোক্তিমূলক তথ্যে, জামাই রাজ্জাকের কাছে ডাকাতির সাড়ে চার লাখ টাকা রয়েছে। তার বাড়ি বরিশাল। সে যশােরের বারান্দী মােল্লাপাড়া কবরস্থান এলাকার আব্দুল হাইয়ের মেয়েকে বিয়ে করেছে। যশাের শহরের গাড়িখানা এলাকায় ভ্যানে ফল ও কাপড় বিক্রি করত সে। শহরের গাড়িখানা ও লােহাপট্টি এলাকায় আস্তানা গাড়া একটি রাজনৈতিক দলের অঙ্গসংগঠনের নেতা নামধারী এক দৃবৃত্তের ছত্রছায়ায় চলত সে। তাকে আটকে কয়েক দফা মােবাইল ট্রাকিং করা হয়েছে। বার বার অবস্থান পাল্টাচ্ছে সে। যে কারণে পুলিশের কয়েকটি অভিযান ব্যর্থ হয়েছে। তাকে আটকে তার বাড়ি বরিশাল ও তার আত্মীয় স্বজনের বাড়িতেও অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।
এব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যশাের সদর ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর তুষার কান্তি মন্ডল বলেন, মামলাটির সন্তোষজনক অগ্রগতি হয়েছে। লুণ্ঠিত টাকার মধ্যে সর্বমােট নয় লাখ ৫৯ হাজার পােশ টাকা উদ্ধার হয়েছে। আট অভিযুক্তের সাতজন পাকড়াও হয়েছে। বাকি জামাই রাজ্জাক যে কোনাে সময় আটকের আওতায় আসবে। বাকি টাকাও উদ্ধারে চেষ্টা চলছে। এছাড়া, ডাকাতিতে রাজনৈতিক এক গডফাদারের সংশ্লিষ্টতার লিংকগুলাে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাজনৈতিক গডফাদারের ব্যাপারে এখনাে তদন্ত চলমান পুরােপুরি নিশ্চিত হলেই তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।