রাসেল ভাইপারের কামড়ের শিকার হয়ে এক ব্যক্তি যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। দংশিত কুদ্দুস খান (৫৫) ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার শ্যামকুড় গ্রামের বাসিন্দা।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি দংশনের শিকার হন। কামড় দেওয়া সাপ নিয়ে শুক্রবার ভোরে তিনি যশোর হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে ডাক্তার সাপকে রাসেল ভাইপার বলে চিহ্নিত করে অ্যান্টি ভেনম দিয়েছেন।
দংশিত কুদ্দুস খান জানান, ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার শ্যামকুড় গ্রামে বৃহস্পতিবার এই দংশনের ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশে ইছামতী নদীতে মাছ ধরছিলাম। এসময় বাম পায়ে সাপে কামড় দেয়। আমার হাতে থাকা মাছ ধরার চাবুক দিয়ে সাপটা মেরে ফেলি। এছাড়া পাশে থাকা পটল ক্ষেতে থাকা দড়ি দিয়ে পা বেঁধে বাসায় ফিরে আসি। এরপর মহেশপুর ও জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে যোগাযোগ করলে তাদের কাছে সাপে কাটা কোন অ্যান্টি ভেনম নেই বলে জানান। রাত সাড়ে তিনটার দিকে যশোর হাসপাতালে ভর্তি হই। রাত চারটার দিকে অ্যান্টি ভেনম দেয়া হয়।
যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডের ডাক্তার সাজ্জাদুল করিম বলেন, গভীর রাতে সাপসহ এক ব্যক্তি হাসপাতালে আসেন। সাপটা দেখে রাসেল ভাইপার বলে চিহ্নিত করি। সেই হিসেবে তাকে অ্যান্টি ভেনম দেয়া হয়েছে। তারপরও আক্রান্ত স্থানে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি।