যশোরে করোনার টিকা প্রদান উৎসব পরিদর্শন করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। গতকাল রোববার তিনি যশোর আসেন। সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ আবু শাহীন ও যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার আখতারুজ্জামের কাছ থেকে তিনি করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী ভ্যাকসিন (টিকা) প্রদান উৎসবের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেন।
এরপর তিনি কেন্দ্রগুলো পরিদর্শনকরাসহ ভ্যাকসিন প্রদানকারী স্বাস্থ্যসেবী ও গ্রহীতাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ডেপুটি সিভিল সার্জন সাইনুর সামাদ, হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাক্তার হিমাদ্রি শেখর সরকার, মেডিক্যাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডাক্তার নজরুল ইসলাম, মেডিক্যাল অফিসার আরিফ আহমেদ, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিক্যাল অফিসার রেহেনেওয়াজ রনি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান প্রমুখ।
পরিদর্শন শেষে অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, যশোরে উৎসবমূখর পরিবেশে মানুষ টিকা গ্রহণ করছেন। এটি অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। করোনা মহামারি প্রতিরোধে ভ্যাকসিন প্রদানের জন্য সরকার সবধরণের ব্যবস্থা করেছে।
সারাদেশে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন হচ্ছে। করোনা মহামারি থেকে বাঁচাতে টিকা গ্রহণের বিকল্প নেই। তবে সতর্কতা সব সময় বজায় রাখতে হবে। ভ্যাকসিন গ্রহণের পরই মাক্স খুলে ঘুরলে হবে না। মাক্স অবশ্যই পরতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রম চলমান থাকবে। এটি বন্ধ হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। সিভিল সার্জন শেখ আবু শাহীন জানান, যশোরে সিনোফার্মের পাশাপাশি ২৮ তারিখ থেকে ফাইজার টিকা দেয়া হচ্ছে। চলমান রয়েছে জেলার আটটি পৌরসভার ও ৯৩ টি ইউনিয়নে গণটিকা টিকাদান কার্যক্রম।
বর্তমানে জেলায় টিকার সঙ্কট নেই। জেলায় আরোও টিকা আসবে। ফলে চলমান ও গণটিকা দিতে সমস্যা হবে না। হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার আখতারুজ্জামান জানান, যশোরে সকলে এখন টিকা নিতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন টিকার লাইন দীর্ঘ।
যারা নিবন্ধন করেছেন সকলেই টিকা পাবেন। তবে, টিকা দান কেন্দ্রে সকলকে স্বাস্থ্যবিধি অবশ্যই মানতে হবে। বর্তমান হাসপাতালের টিকাদান কেন্দ্রে ছয়টি বুথে টিকা দেয়া হচ্ছে। তার মধ্যে চারটি সকলের জন্য, একটি ভিআইটি ও একটি গর্ভবতী মায়েদের জন্য। এ সকল টিকা কেন্দ্রে সেবিকাদের সাথে ১৭ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছে।