যশোর জেলা যুবদল থেকে বহিষ্কৃত প্রচার সম্পাদক এসকেন্দার আলী জনির ফেসবুক লাইভ’র বক্তব্য নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন দলের নেতারা। কোন তথ্য প্রমাণ ছাড়াই শুধুমাত্র একজন বহিস্কৃত নেতার বক্তব্য নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হওয়ায় এটাকে দলের নেতারা ষড়যন্ত্র বলে মনে করছেন। এনিয়ে ইতোমধ্যে যশোর নগর যুবদল নিন্দা ও প্রতিবাদও জানিয়েছে। গতকাল নগর যুবদলের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ ও সদস্য সচিব শেখ রবিউল ইসলাম রবিসহ নেতৃবৃন্দ এ ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
নেতৃবৃন্দের ভাষ্য, যশোর জেলা যুবদলের কমিটি সামনে রেখে একের পর এক অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। একটি মহল পরিকল্পিতভাবে যশোর জেলা যুবদলের সভাপতি এম তমাল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানার নাম জড়িয়ে বানোয়াট মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডা চালাচ্ছে। যার কোন ভিত্তি নেই।
নেতৃবৃন্দ দাবি করেন, জেলা যুবদলের নতুন কমিটি গঠন হবে এমন সময়ে একটি কুচক্রি মহল এমন ঘৃণ্য কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে। যদিও দলীয় নেতাকর্মী ও যশোরের মানুষ এই অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হবেন না বলে তারা আশাবাদী। তারা আরো বলেছেন, যশোর জেলা যুবদলের অন্যান্য ইউনিটের ন্যায় যশোর নগর যুবদল জেলা সভাপতি এম তমাল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আনছারুল হক রানার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ আছে। তাই ষড়যন্ত্র করে কোন লাভ হবে না।
প্রসঙ্গত, ৭ জানুয়ারি এসকেন্দার আলী জনি এই ফেসবুকে লাইভে এসে বলেন, ‘যশোর ক্যান্টনমেন্টে লুকিয়ে ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তাকে ভারতে পালাতে সাহায্যে করেছেন জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানা। শুধু ওবায়দুল কাদের নয়; আওয়ামী লীগের বহু নেতাকে ভারতে যেতে সাহায্য করা হয়েছে। আর গোপনে যশোর জেলা যুবদলের সভাপতি তমাল আহমেদ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথের সাথে মদের ব্যবসা করেন।
জনি যখন এই বক্তব্য ফেসবুকে দেন, তার ২০ দিন আগেই যুবদল থেকে তিনি বহিস্কৃত হন। তার বহিস্কারের পেছনেও ছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়া। এছাড়া দলের নির্দেশ অমান্য করে গত ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন স্থানে চাঁদাদাবি ও হামলা করেছে। সংগঠনের শৃঙ্খলা বিরোধী কাজ করায় গত ১৭ ডিসেম্বর তিনি বহিস্কার হন। তার বহিস্কারের জন্য জেলা যুবদলের পাশাপাশি যশোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু সুপারিশ করেছিলেন।
যশোর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আনসারুল হক রানা মুঠোফোনে বলেন, বিভিন্ন সময় সংগঠনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ অমান্য ও আইন পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকায় এসকেন্দার আলী জনিকে কেন্দ্রীয় যুবদল তার পদ থেকে বহিস্কার করে। এরপর তিনি আরো বেপরোয়া হয়ে বিএনপি ও যুবদলের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন। আমরা তার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছি।