আজ - সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - বিকাল ৩:৩৭

যশোর-ঝিনাইদহ অঞ্চলের করোনা রোগীদের পাশে নোয়াপাড়া গ্রুপ

নব্বইয়ের দশকে ঝিনাইদহের হরিনাকুন্ডের সন্তান ফাইজুর রহমান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়েছিলেন যশোরের শিল্পনগরী নোয়াপাড়ায়। সেদিনের ‘সেই ছোট্ট’ ট্রেডিং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটি এখন দেশের শীর্ষ গ্রুপ অব কোম্পানিতে রূপ নিয়েছে।

সার, সিমেন্ট, কয়লা, ফার্মাসিউটিক্যাল, হাসপাতাল, শিপিংসহ বিভিন্ন সেক্টরে বিনিয়োগের কারণে কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান ঘটেছে। ব্যবসার প্রয়োজনে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ফাইজুর রহমান বকুল ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইদুর রহমান লিটু অধিকাংশ সময় রাজধানী ঢাকা ও বিদেশে অবস্থান করে শত ব্যস্ততায়ও ভোলেননি শেকড়কে। নিজ জন্মভূমি হরিনাকুন্ডু ও ব্যবসাকেন্দ্র নওয়াপাড়া অঞ্চলের মানুষের সংকট-বিপদে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন।

করোনা সংকটের শুরু থেকেই লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষকে অর্থ ও খাদ্য সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করে আসছেন প্রচারবিমূখ নোয়াপাড়া গ্রুপের এই দুই কর্ণধার।  

সম্প্রতি, করোনার ভয়ানক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়লে বিপন্ন মানুষের জীবন বাঁচাতে সরকারের পাশে থাকতে যশোর সদর হাসপাতাল, নওয়াপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ও হরিনাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিপুল পরিমান অক্সিজেন সিলিন্ডার, অক্সিজেন কনসেনটেরর, বাইপ্যাপ মেশিন, ডিজিটাল থার্মাল স্ক্যানার, পিপিই, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, এন-৯৫ সহ বিভিন্ন ধরনের ম্যাস্ক সরবরাহ করা হয়।  

মঙ্গলবার (৬ জুলাই) ও বুধবার (০৭ জুলাই) স্ব-স্ব জেলার জেলা প্রশাসক ও স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের হাতে এসব চিকিৎসা সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘করোনার মুমূর্ষ রোগীদের জন্য ব্যয়বহুল পাইপপ মেশিন খুবই জরুরি। অক্সিজেন কম লাগে এবং কিছুটা স্বস্তিবোধ করে। তিনি বলেন, নোয়াপাড়া গ্রুপের যশোরের দুই হাসপাতালে দেওয়া সরঞ্জামের দাম অন্তত ১৫ লাখ টাকা।

এরআগে, প্রতিষ্ঠানটি নওয়াপাড়া পৌরসভায় ২৫ লাখ টাকা মূল্যের অ্যাম্বুলেন্স উপহার দিয়েছেন। এছাড়াও ভবদহের সৃষ্ট জলাবদ্ধতা ও বন্যায় অসহায় মানুষকে সহযোগিতার পাশাপাশি, এতিমখানা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে যথেষ্ঠ ভূমিকা রাখেন।

আরো সংবাদ