তথ্য গোপন করে বিয়ের অভিযোগে ফিরোজ উদ্দিন নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। রোববার যশোর উপশহর এলাকার ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া অভিযোগের তদন্ত করে কোতোয়ালি থানার ওসিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আাদেশ দিয়েছেন। আসামি ফিরোজ কুড়িগ্রাম উলিপুর থানার জানজায়গির গ্রামের বাবর আলীর ছেলে।
মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, ওই নারীর সাথে আসামি ফিরোজের ফেসবুকে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ফিরোজ বিবাহীত হওয়ায় তারা কেউ কাউকে বিয়ে করবেনা বলে বন্ধুত্বের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখে। ২০২২ সালের পহেলা ডিসেম্বর ফিরোজ ওই নারীর বাড়িতে এসে জানায়, তার প্রথম স্ত্রী তাকে তালাক দিয়েছে। ৮ ডিসেম্বর ফিরোজ ১০ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিয়ে করে তাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে ফিরোজের প্রথম স্ত্রী তার বাড়িতে চলে আসেন। এ সময় ফিরোজ যৌতুক দাবি করে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। গত ১ জানুয়ারি যৌতুকের টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ফিরোজ তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে পিতার বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। পহেলা ফেব্রুয়ারি ফিরোজকে বাড়িতে ডেকে মীমাংসায় ব্যর্থ হয়ে তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।