যশোরে আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা ছিল সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অংশ। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে নির্মমভাবে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যা করা হয়। যেসব দেশি-বিদেশি চক্র বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি, তারা ভেবেছিল বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারলেই বাংলাদেশ কখনও স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না। সোমবার বিকালে যশোর পৌর আওয়ামী লীগের আয়োজনে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট টার্গেট ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আর ২১ আগস্ট টার্গেট ছিলেন শেখ হাসিনা। দুটো হত্যাকাণ্ড আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতে চেয়েছিলো। মুছে দিতে চেয়েছিলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে। ২১ আগস্ট জননেত্রী শেখ হাসিনা বেঁচে গেলেও অনেক ত্যাগী নেতাকর্মী সেইদিন প্রাণ দিয়েছেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত এবং বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে একটি সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়ে তুলতেই সৃষ্টিকর্তা রাব্বুল আলামিন শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় সব প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে দেশকে এগিয়ে নিতে নেতৃবৃন্দ শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
যশোর পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাফিয়া খাতুনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, যশোর সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী নূরজাহান ইসলাম নীরা ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মাহমুদ হাসান বিপু। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, যশোর জেলা যুবলীগের প্রচার সম্পাদক শেখ জাহিদ হোসেন মিলন, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বিপুল, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি রেহেনা পারভীন, পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য হোসনে আরা, যশোর পৌরসভার কাউন্সিলর শেখ রোকেয়া পারভীন ডলি, যশোর পৌরসভার কাউন্সিলর নাসিমা আক্তার জলি, ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক শেখ সাদিয়া মৌরিন। এছাড়া যশোর পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।