যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই গ্রুপ শিক্ষার্থী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছেন। এখন পর্যন্ত ৪ ছাত্রকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছেন সহপাঠিরা। এঘটনায় একজন প্রক্টর আহত হয়েছেন বলেও খবর পাওয়া গেছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (রাত-সাড়ে ১২টা) দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলমান রয়েছে। তবে কি কারণে এই সংঘর্ষ-তা এখনো নিশ্চিত করেনি কোনো সূত্র। দায়িত্বশীল কেউ ফোন ধরছেন না। তবে বিভিন্ন সূত্রের ভাষ্যমতে এখনো সংঘর্ষ চলছে।
আজ শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে সিরাজগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ফরিদপুরের মধুখালী ও পটুয়াখালীর ৪ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের সহপাঠিরা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। তবে কি কারণে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি কেউ।
হাসপাতালে ভর্তিকৃতরা হলেন-যবিপ্রবির সিএসই ২য় বর্ষের ছাত্র ফাহিম ফয়সাল (২৩)। তিনি সিরাজগঞ্জ শহর এলাকার বাসিন্দা সাইফুল ইসলামের ছেলে। একই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র তফিকুল ইসলাম (২৪) চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার মনোকষা গ্রামের বদিউর ছেলে। তিনিও সিএসই-২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। একই শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ফরিদপুরের মধুখালীর সুকুমার দাসের ছেলে ইমন দাস সৈকত ও পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বিলবিলাস গ্রামে মনিরুল ইসলামের ছেলে রাফিন আফসারকে (২১) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রের দাবি-একজন প্রক্টরও আহত হয়েছেন। তবে তার নাম জানাতে পারেনি নির্ভরশীল কোনো সূত্র। অপর কয়েকটি সূত্রের দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সাথে কম্পিউটার সায়েন্সের কয়েকজন শিক্ষার্থী বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। তারপরই শুরু হয় দু’পক্ষের সংঘর্ষ।