আজ - বৃহস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - রাত ৮:১১

যশোর মেডিক্যাল কলেজে ৫০০ শয্যা হাসপাতালের দাবিতে মানবন্ধন

এক দশকেও বাস্তবায়ন না হওয়া যশোর মেডিক্যাল কলেজে ৫০০ শয্যা হাসপাতালের দাবিতে যশোরে সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। দাবি বাস্তবায়নে একইসাথে যশোর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটির ব্যানারে রবিবার সকালে এ কর্মসূচী পালিত হয়। কর্মসূচীতে জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ একত্মতা প্রকাশ করেন।

কালেক্টরেট চত্বরে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচীতে সূচণা বক্তব্য দেন যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল বাস্তবায়ন সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান ভিটু।

দাবি বাস্তবায়নে একত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির (মার্কসবাদী) সাধারণ সম্পাদক ইকবল কাবির জাহিদ, জনউদ্যোগ যশোরের আহ্বায়ক নাজির আহমেদ, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারাজি আহমেদ সাঈদ বুলবুল, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সুকুমার দাস, সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলাম তারু, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মজনু, শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান বুলু, আইডিইবি যশোরের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, জয়তী সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক অর্চনা বিশ্বাস ইভা, আইইডি যশোরের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিথিকা সরকার, এসএসচি- ৯১ এর সমন্বয়ক রাশেদ চৌধুরী প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, ২০১১ সালে যশোর মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন করা হলেও দীর্ঘ ১০ বছরেও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চালু করা হয়নি। যদিও যশোরের পরে স্থাপিত পাশের জেলা সাতক্ষীরা ও কুষ্টিয়ায় মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ অবস্থায় মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের যথাযথ শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি বৃহত্তর যশোর অঞ্চলের সাধারণ মানুষ অধিকতর চিকিৎসাসেবা লাভে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ কারণে অবিলম্বে যশোরবাসীর প্রাণের দাবি যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল বাস্তবায়নের জন্য আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রধান করেন নেতৃবৃন্দ। স্বারকলিপিতে বলা হয়েছে- ২০১১ সালে যশোর মেডিকেল কলেজ স্থাপন করা হয়। প্রাথমিক অবস্থায় যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে কলেজটির সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা হতো। পরবর্তীতে শহরের শংকরপুর এলাকায় নিজস্ব ক্যাম্পাসে কলেজ স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে কলেজে চার শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছেন।

এদিকে, যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল বাস্তবায়নে গঠিত সংগ্রাম কমিটির আন্দোলন কর্মসূচীর প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেছে যশোর সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট।

আরো সংবাদ