বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর যশোর শহরের রেলগেট এলাকায় থাকা সেই অজ্ঞাত অসুস্থ বৃদ্ধ ব্যক্তির চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের স্ত্রী ও পুনাক সভানেত্রী জীশান মীর্জা।
রোববার বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, যশোর শহরের রেলস্টেশনসংলগ্ন সড়কের পাশে ফুটপাতে এক বৃদ্ধকে শুইয়ে রাখা হয়েছে। তারা কথা বলতে চেষ্টা করলেও বৃদ্ধ কিছুই বলতে পারছেন না। সামান্য খাবার কিনে দিলে কোনোভাবে খেতে পারেন। বৃদ্ধের নাম-ঠিকানাও জানা যায়নি। শরীরে পচন ধরেছে। মলমূত্র ত্যাগ করে গায়ে মাখিয়ে ফেলেছেন। চারপাশে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে।
এ অবস্থায় বৃদ্ধকে বাঁচাতে রোববার দুপুরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন প্রাইভেটকারচালক সাজু হোসেন। এরপর ঘটনাস্থলে যান যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই রফিকুল ইসলাম। কিন্তু তিনি সেখানে গিয়ে আশপাশে থাকা লোকজনদের বলে আসেন— এখানে পুলিশের কিছু করার নেই।
নিউজটি আইজিপির স্ত্রী জীশান মীর্জার নজরে আসে এবং বিষয়টি তিনি মানবিক দৃষ্টিতে দেখেন। তিনি যশোর জেলার পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদারকে বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে বলেন এবং একইসঙ্গে বৃদ্ধের চিকিৎসার দায়িত্বভার নেন। পুলিশ সুপার বৃদ্ধ ব্যক্তির দেখভাল এবং পুনাক সভানেত্রীর ব্যবস্থাপনায় সুচিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন।
যশোর পুলিশের মুখপাত্র রুপণ কুমার সরকার বলেন, সোমবার রাতে পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় একটি টিম সেই বৃদ্ধ ব্যক্তিকে সুচিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণের উদ্দেশ্যে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল যশোরে যান। তার জন্য পুনাক সভানেত্রী জীশান মীর্জার পক্ষ থেকে বিভিন্ন প্রকার ফল, জুস ও খাবার সামগ্রী নিয়ে যান। তাকে আগামীকাল (মঙ্গলবার) সকালে জেলা তত্ত্বাবধানে পুনাক সভানেত্রীর ব্যবস্থাপনায় সুচিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে।
এদিকে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর রোববার রাতেই বৃদ্ধকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে র্যাব-৬।