আজ - রবিবার, ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২০শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি, (শীতকাল), সময় - বিকাল ৩:০৫

যেভাবে বেড়িয়ে এলো মৃত নারীদের ধর্ষণের রহস্যঃ সর্বশেষ আপডেট

মামার সঙ্গে সহযোগী হিসেবে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে কাজ করতো ২০ বছর বয়সী মুন্না ভগত। কিন্তু পেশাগত দায়িত্বের চেয়ে জঘন্যতম কাজেই মনোযোগ ছিল মুন্নার। রাতের আঁধারে মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য নেয়া নারীদের ধর্ষণ করতো এ তরুণ।

শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইম বিভাগের প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ মো. রেজাউল হায়দার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।তিনি বলেন, বিভিন্ন স্থান থেকে যেসব লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নেয়া হতো, সেসব লাশের মধ্য থেকে মৃত নারীদের ধর্ষণ করতো মুন্না।সিআইডি’র বিবৃতিতে জানানো হয়, ২০১৯ সালের মার্চ থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ থেকে পাওয়া মৃত নারীদের দেহে পুরুষ শুক্রানুর উপস্থিতি পায় সিআইডি। কিন্তু একাধিক নারীর মরদেহে একজন পুরুষের শুক্রানুর উপস্থিতি তাদের চমকে দেয়। তারা সেই পুরুষকে চিহ্নিত করার জন্য তারা অনুসন্ধানে নামে।অনুসন্ধানে নেমে সিআইডি জানতে পারে, সোহরাওয়র্দী হাসপাতালের মর্গের মূল ডোম রজত কুমার। তাকে সহায়তা করে আরো ৫/৬ জন। তার মধ্যে রজতের ভাগ্নে মুন্না ভগত রাতে মর্গের পাশেই একটি কক্ষে থাকে। মুন্নাকেই সন্দেহ হয় সিআইডির। গুমের শিকার হওয়া এক যুবকের স্বজন সেজে মুন্নার সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন সিআইডির দুই কর্মকর্তা।সিআইডি কর্মকর্তাদের একজন জানান, বেশ কয়েকদিন তারা মুন্নাকে চোখে চোখে রাখেন। রাতে মুন্নাই থাকে এটি নিশ্চিত হতে তারা রাত ১টা বা ২টায়ও মর্গে যান। ছবি দেখিয়ে জানতে চেয়েছেন এই চেহারার কোনো লাশ মর্গে এসেছে কি-না। এভাবেই মুন্নার সঙ্গে সম্পর্ক গাঢ় হয়। এ সুযোগে মুন্নার পান করা সিগারেটের ফিল্টার সংগ্রহ করেন তারা। ফিল্টার থেকে সংগ্রহ করা ডিএনএ’র সঙ্গে মিলে যায় ওই পাঁচ কিশোরীর দেহে পাওয়া ডিএনএ’র।বিবৃতিতে সিআইডি বলেছে, মরদেহে পাওয়া শুক্রানুর ওপর ভিত্তি করে সেই পুরুষের ডিএনএ প্রোফাইল তৈরি করা হয়। পরে ঢাকার মোহাম্মদপুর ও কাফরুল থানার কয়েকটি ঘটনা থেকে পাওয়া ডিএনএ প্রোফাইলের সাথে সন্দেহভাজন ব্যক্তির ডিএনএ প্রোফাইল মিলে যায়।

আরো সংবাদ