খানজাহান আলী 24/7 নিউজ : যশোর সদর উপজেলাধীন রামনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হাসানুজ্জামান হাসুর সাথে ইউনিয়নবাসীর দ্বন্ধ চরমে পৌঁছেছে। এই আওয়ামীলীগ নেতার পদচ্যুতি আর শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ঝাটা মিছিল করেছে রাজারহাটবাসী।
দীর্ঘ বছর ধরে রামনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ বহাল থাকায় রামনগর ইউনিয়নের সকল সন্ত্রাসী বাহিনী হাসুর নিয়ন্ত্রণে। ক্ষমতাসীন দলের সেই পদ থাকলেই রাজারহাট অঞ্চলের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ উত্তপ্ত হবে এমন দাবিতে হাসানুজ্জামান হাসুর পদচ্যুতি চাচ্ছে স্থানীয়রা।
আওয়ামীলীগ সম্পাদক হাসু আর তার পোষা ক্যাডার ফুলন বাহিনীর নানা অপকর্মের প্রতিবাদে বুধবার রাজারহাটে ঝাটা মিছিল করেছেন স্থানীয়রা। তবে বহু ক্ষমতাধর এ আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে ঝাটা মিছিল আর পদত্যাগ চাওয়ার মূল কারণ গতকাল মঙ্গলবার রাজারহাটে ধারালো অস্ত্র দ্বারা দুজন ব্যবসায়ী বাবলু ও শফিকুলের উপর হামলার প্রতিবাদ। এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী হাসু ও ফলন গং এর গ্রেফতারের দাবিতে হওয়া আজকের মানববন্ধন ও ঝাটা মিছিলের নেতৃত্ব ছিলেন নানা শ্রেণি-পেশার বা বয়সের সাধারণ ভুক্তভোগী নারী-বুড়রা।
স্থানীয়রা হাসু ও ফুলনের সন্ত্রাসী দলের ওপর অভিযোগ তুলে বলছেন, গত কয়েক বছর ধরে রামনগরের হাসু-ফুলন বাহিনীর কাছে জিম্মি হয়ে আছেন তারা। ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে তিনি সমস্ত সন্ত্রাসীদেরকে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে একক ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়। তাদেরকে চাঁদা না দিয়ে কোন ব্যবসায়ী ব্যবসায় প্রসার ঘটাতে পারে না। স্থানীয় সাধারণ মানুষ, ভ্যান, ইজিবাইক চালক ভয়ে তারা যা বলে মেনে নেন। ফলে রামনগরে কোলাহল বেড়েই চলেছে। রামনগরবাসী এই জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পেতেই তাদের বিরুদ্ধে ঝাটা মিছিল করেছে।
আহত বাবলু সাংবাদিকদের বলেন, হাসুর নির্দেশে ও ফুলনেরর নেতৃত্বে একটি সন্ত্রাসী দল নিয়মিত রা বাজারের ব্যবসায়ীদের থেকে হপ্তা তুলতো। সম্প্রতি আমি সহ কয়েকজন ব্যবসায়ী এসব চাঁদার টাকা না দেওয়ায় দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল হাসু-ফুলন বাহিনী। মঙ্গলবার দুপুরে একজন অসহায় ভ্যানচালককে অজ্ঞাত কোন কারনে ফুলন সহ ২০ জনেরও বেশি চিহ্নিত সন্ত্রাসী একজন ভ্যান চালক শফিকুলকে মারধর করতে থাকে। বিষয়টি লক্ষ্য করে আমি সহ স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী ঘটনাস্থলে গেলে কয়েকজন বলে এদের সবাইকে হাসু ভাইয়ের কাছে নিয়ে চল। কয়েকজন বলে ধর এদেরকে। এসময় ওদের হাতে ধারালো অস্ত্র দেখে আমি আর শফিকুল জীবন বাঁচাতে নিরাপর এলাকায় আত্মগোপনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হই। তখন ফুলনের সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদেরকে তাড়া করে হাসুর কাছে (মেঘনা ফাউন্ডেশনের টিন শেডের নিচে) নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। হাসু ঘটনাস্থলে থেকেও ফুলন বাহিনীকে বাধা দেননি। স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছালে হাসু-ফুলন দলসহ পালিয়ে যায়।”
ঘটনার পর থেকে স্থানীয় সাধারণ মানুষের মনে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় কোতয়ালী থানায় তিনটি মামলা হয়েছে।