স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনুমোদন ছাড়াই র্যাপিড কিট দিয়ে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করে আসছিল রাজধানীর গুলশান-২ এ অবস্থিত সাহাবউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। তারা অ্যান্টিবডি পরীক্ষার জন্য রোগীদের কাছ থেকে তিন হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা করেও নিত বলে অভিযোগ রয়েছে।
রাজধানীর গুলশানে ২ নম্বরে অবস্থিত এ হাসপাতালটিতে রোববার (১৯ জুলাই) বিকেলে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে অসহযোগিতা করায় প্রতিষ্ঠানটির সহকারী পরিচালক ডা. মোহাম্মদ আবুল হাসনাতকে আটক করেছে র্যাব।
অভিযানে নেতৃত্বদানকারী র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বলেন, হাসপাতালটিতে আমরা তিনটি অভিযোগ পেয়েছি। এর মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে কোভিড-১৯ পরীক্ষার অনুমোদন দিয়েছিল। কিন্তু তাদের কোভিড-১৯ পরীক্ষার স্বয়ংক্রিয় মেশিন না থাকায় অনুমোদন বাতিল করা হয়। এর পরও তারা কোভিড-১৯ পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছিল। তারা বাইরের রোগীদেরও টেস্ট করেছে। এ টেস্টগুলো অননুমোদিত ডিভাইসের মাধ্যমে করেছে। যে রিপোর্ট দিয়েছে তা সবই ভুয়া।
সারোয়ার আলম আরও বলেন, দ্বিতীয় অভিযোগ হলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিছু পরীক্ষা বাইরের হাসপাতাল থেকে করে তা নিজেদের হাসপাতালের প্যাডে লিখে রোগীদের দিয়েছে। তৃতীয়ত তারা কিছু পণ্য যেমন মাস্ক, গ্লাভস- এগুলো একাধিকবার ব্যবহার করছে। এগুলো মূলত একবারই ব্যবহারযোগ্য (ওয়ানটাইম ইউজেবল)। কিন্তু তারা এগুলো বারবার ব্যবহার করছে।
উল্লেখ্য, র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে থাকে। রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে গত ৬ জুলাই করোনাভাইরাস পরীক্ষার জালিয়াতি ধরে র্যাব। এরপর রিজেন্টের দুটি হাসপাতালই সিলগালা করে দেওয়া হয় এবং রিজেন্টের মালিক মোহাম্মদ সাহেদসহ ওই হাসপাতালের কয়েকজন কর্মচারীকে গ্রেফতার করা হয়।