আজ - সোমবার, ২৪শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫শে শাবান, ১৪৪৬ হিজরি, (বসন্তকাল), সময় - সন্ধ্যা ৭:২০

রিফাতকে কোপানোর পর চিকিৎসা-আসামিদের বিবরণ দেন সাক্ষীরা।

স্টাফ রিপোর্টার।। বরগুনার চাঞ্চল্যকর রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় শিশু আদালতে বুধবার দুইজনের সাক্ষ্য ও জেরা জেলা জজ হাফিজুর রহমানের আদালতে সম্পন্ন হয়েছে।

সাক্ষীরা এ সময় রিফাত শরীফকে কোপানোর পর হাসপাতালে পাঠানো, তার চিকিৎসা ও আসামিদের পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দেন।

এ সময় সব আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষ্য দেয়ার পর জাকারিয়া যুগান্তরকে বলেন, ঘটনার দিন আমি বাদীর বাড়ির পাশেই ছিলাম। হঠাৎ দেখি বাদী দুলাল শরীফ ও তার অপর দুই ভাই আজিজ শরীফ ও সালাম শরীফ তড়িঘড়ি করে মোটরসাইকেলে বরগুনা শহরে যাচ্ছে। কোথায় যাচ্ছেন জানতে চাইলে তারা বলেন, রিফাতকে নাকি সন্ত্রাসীরা কোপাইছে। তোরাও হাসপাতালে আয়। একটু পর আমি ও হারুন আরেকটি মোটরসাইকেলে বরগুনা হাসপাতালে যাই।

তিনি বলেন, ওই সময় রিফাত তার বাবা ও চাচাদের কাছে হামলাকারী নয়ন বন্ড, রিফাত ফরাজী, রিশান ফরাজী, রায়হান, চন্দন, রাব্বি আকন, সিফাত, টিকটক হৃদয়সহ প্রায় ২০-২৫ জনের নাম বলেছে। সবার নাম আমার মনে নেই।

সাক্ষী হারুনও একই বর্ণনা দিয়েছে। বলেছেন, হাসপাতালে এসে রিফাতের মুখে আসামিদের নাম শুনি। এছাড়া ভিডিও দেখতে দেখতে আসামিদের চেহারা মুখস্থ হয়ে গেছে। ভিডিওতে মিন্নিকেও অনেক নির্লিপ্ত দেখা গেছে। মিন্নি রিফাতকে বাঁচানোর চেষ্টা সেভাবে করেনি।

আসামিপক্ষের আইনজীবী বিমান গুহ যুগান্তরকে বলেন, আমরা আশা করি আসামিরা ন্যায়বিচার পাবে।

রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান যুগান্তরকে বলেন, এ পর্যন্ত ৭ জন সাক্ষ্য দিয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের বিশ্বাস, আসামিদের সাজা হবে।

এদিকে আসামি সাইয়েত মারুফ ও আবদুল্লাহ রায়হানের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষে তা নামঞ্জুর করে দিয়েছেন আদালত।

বুধবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে কোনো সাক্ষ্যগ্রহণ না করলেও বৃহস্পতিবার তিনজনের এবং শিশু আদালতে আরও দুইজনের সাক্ষ্য নেয়া হবে।

আরো সংবাদ