আজ - শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - ভোর ৫:১২

রূপদিয়াতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে একটি প্রতারক চক্র : রেহায় পাচ্ছেনা খোদ ইউপি চেয়ারম্যান, প্রশাসন সহ সাংবাদিকরা

খান জাহান আলী 24/7 নিউজ :: এসিল্যান্ড পরিচয়ে রূপদিয়ায় (বেকারী) ব্যবসায়ীর কাছে ফোন করে মোটাংঙ্কের চাঁদাদাবী। একই পরিচয়ে দিয়ে নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান’কে ফোন করে বিব্রত করার ঘটনা ঘটেছে।

এনিয়ে ভুক্তভুগী ব্যবসায়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা গেছে গত ২৯ নভেম্বার রাত ৮টা ৩২ মিনিটে অজ্ঞাত ব্যাক্তির ফোন নম্বর ০১৭৩১-৫৯৯৪৬৬ থেকে বেকারী মালিক ইকরামুল সরদারের ০১৯২২-২৯৪১২৬ নম্বারে কল করে নিজে’কে যশোর সদরের এসিল্যান্ড স্যার পরিচয় দিয়ে এই মুহুর্তে বেকারীতে মোবাইল কোর্ট বসিয়ে জেল-জরিমানা সহ উক্ত বেকারী (ফ্যাক্টরি) ৬ বছরের জন্য সিলগালা করে রাখা হবে। ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। জরিমানার এই অর্থ দিতে ব্যার্থ হলে ৬ বছরের জেল প্রদান করা হবে। এই সব দন্ড থেকে বাঁচতে চাইলে নগদ-৩০ হাজার টাকা দিতে হবে। নতুবা এখুনি গাড়ি নিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে বেকারী (ফ্যাক্টারী) তে আসছি বলে ফোন রেখে দেয়। ভুক্তভুগী ব্যবসায়ী ইকরামুল সরদার বলেন এঘটনার পর থেকে বারবার চেষ্টা করেও বিজি পাওয়া যায়। পরবর্তীতে বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজখবর নিয়ে জানাযায়, উক্ত মোবাইল নাম্বার ও কণ্ঠ কোনোটা এসিল্যান্ড স্যারের না। সে মুলত কোনো প্রতারক চক্রের সদস্য।

এর আগে নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোদাচ্ছের আলীর ব্যাবহৃত মোবাইল নাম্বারে ওই একই নাম্বার থেকে কল করে নিজেকে এসিল্যান্ড যশোর পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করতে থাকে। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান নাম্বারটি এসিল্যান্ডের না বলে প্রশ্ন করলে তার পার্সোনাল নাম্বার বলে রেখে দেয়। তাৎক্ষনিক যশোর সদরের এসিল্যান্ড’কে বিষয়টি জানালে এটি কোনো প্রতারক বলে নিশ্চিত হন। এঘটনার পর বিভিন্ন জায়গা থেকে সংবাদকর্মীদের কাছে অভিযোগ আসছে সম্প্রতি রূপদিয়া অঞ্চলে ম্যাজিস্ট্রেট, সাংবাদিক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে মাঠ চষছে একটি চক্র।

কথিত সাংবাদিক পরিচয়ধারী চিহিৃত কিছু ব্যক্তি রূপদিয়া সহ আশপাশের বাজার গুলোর ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাছ-মাংস, চাউল, ওষধ সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে টাকা পয়সা না দেওয়ার ঘটনা ঘটছে  অহরহ। বাকি টাকা চাইলে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে কথিত এস সাংবাদিকরা। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে এই চক্রটি। শুধু এই না নিজেদের কে বড় ধরনের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে প্রশাসন কর্তৃক আটককৃতদের পরিজনের নিকট থেকে পুলিশ মারধোর করবে না এমন নিশ্চয়তা দিয়ে মোটা অংঙ্কের টাকা হাতানোর অভিযোগও পাওয়া গেছে। এনিয়ে ভুক্তভুগী ও এলাকাবাসীরা দাবী জানান এই ধরনে চক্রকে চিহিৃত পূর্বক ব্যাবস্থা গ্রহন করা হোক।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত