জয়পুরহাটের পাঁচবিবি কোকতারা এলাকায় স্থানীয়দের তাৎক্ষণিক বুদ্ধিমত্তায় ভয়াবহ একটি দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে একটি ট্রেন। এতে এড়ানো গেছে বহু প্রাণহানি।
শুক্রবার (২০ আগস্ট) সকালের দিকে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার প্রায় দুই ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
লোকো মাস্টার শাহ আলম জানান, বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) রাত পৌনে ১১টায় ঢাকা-কমলাপুর থেকে ছেড়ে আসে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস। শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টায় পাঁচবিবি স্টেশন অতিক্রম করে হিলি স্টেশনের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল ট্রানটি। ট্রেনটি প্রায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে চলছিল। ওই রেললাইনে প্রায় ৮ ইঞ্চি জায়গা ভাঙা ছিল। বিষয়টি দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে কয়েকজন স্থানীয় লাল গামছা উড়িয়ে ট্রেন থামানোর সংকেত দেন। তাদের তৎপরতা ও বুদ্ধিমত্তায় ট্রেনটি বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয় শফিকুল ইসলাম, তার ভাতিজা গুলজার ও নাজির হোসেন নামের এক তরুণ রেললাইনের ভাঙা অংশ দেখে ট্রেন থামানোর সিদ্ধান্ত নেন।
শফিকুল ইসলাম বলেন, ভোর বেলা রেললাইন দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় নাজির রেললাইনে ভাঙা দেখে আমাকে জানান। পরে আমার ভাতিজাকে লাল গামছা আনতে বাড়িতে পাঠাই। বাড়ি কাছে হওয়ায় দ্রুত গামছা আনলে আমরা তা উড়িয়ে ট্রেনটি থামাতে সক্ষম হই।
সান্তাহার জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজের আলী জানান, রেললাইনের ওপর লাল গামছা ওড়ানো দেখে ট্রেনটি থামিয়ে দেন চালক। পরে রেলকর্মীদের খবর দিলে তারা এসে লাইন মেরামত করেন। প্রায় দুই ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।