পলিটিক্যাল বিট প্রতিবেদক: মনোনয়ন পাবার ব্যাপারে মোটামুটি নিশ্চিত ছিলেন বিএনপি নেতা আবদুল মান্নান। শরীরটা ভালো না, তাই নির্বাচনে কোনো আগ্রহ প্রথমে ছিল না। সিনিয়র নেতা, বিশেষ করে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাঁকে নির্বাচন করার প্রস্তাব দেন। দুই দিন টেলিফোনে আলাপের পর বিএনপি মহাসচিব তাঁকে ঢাকায় ডেকে পাঠান। বর্তমান মেয়র, নির্বাচনের পর মামলা আর জেলেই গেছে বেশি সময়, সরকার ‘বিমাতাসুলভ ’ আচরণ করেছে এমন যুক্তি দেখিয়ে মান্নানকে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হতে বলেন। আবদুল মান্নান সে সময়ও বলেছিলেন ‘আমি অসুস্থ বরং আমার ছেলেকে দেন।’ কিন্তু বিএনপি মহাসচিব নাছোড়বান্দা, বললেন, ‘আপনাকে কিছু করতে হবে না, শুধু দাঁড়াবেন।’ গাজীপুরে মান্নানের নিজস্ব ভোট ব্যাংক রয়েছে।। এই তথ্য বিএনপির সবার জানা। বিএনপি মহাসচিব এর কোথায় রাজি হন, বর্তমান মেয়র। তবে শর্ত দেন, টাকা পয়সা কাউকে দিতে পারবো না, এমনিতেই চাপে আছি।‘ মির্জা ফখরুল তাঁকে আশ্বস্ত করলেন, এসব কিছু লাগবে না, আমাদের লাগবে গাজীপুর।‘ অন্য নেতাদেরও ছিল একমত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন পেলেন না আবদুল মান্নান। সোমবার দুপুরেই তিনি জানতে পারেন, গাজীপুরের মনোনয়ন পাচ্ছেন হাসান উদ্দিন সরকার। রাতেই কর্মীরা ভিড় করতে থাকেন আব্দূল মান্নানের বাসায়। ‘অসুস্থ’ বলে কারও সঙ্গে দেখা করেননি। আজ মঙ্গলবার সকালে গাজীপুরের কয়েকজন প্রভাবশালী দেখা করেন আব্দুল মান্নানের সঙ্গে। একান্তে তাঁদের বলেন, ‘লন্ডনে টাকা পাঠালেই নমিনেশন পেতাম। কিন্তু পাঠাই নি। এই বয়সে এসব ভালো লাগে না।’ এদের একজন প্রভাবশালী ব্যবসায়ী জানালেন, আপাতত: রাজনীতি থেকে দূরে থাকবেন। বিএনপি এখন ‘ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে’ পরিণত হয়েছে বলেও তিনি দু:খ প্রকাশ করেছেন।