আজ - রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ৪:০১

লিপস্টিকের প্রলোভনে ধর্ষণ চেষ্টা, চিৎকার করায় দুই শিশুকে হত্যা’

‘লিপস্টিকের প্রলোভনে ধর্ষণ চেষ্টা, চিৎকার করায় দুই শিশুকে হত্যা’
লিপস্টিক দিয়ে সাজিয়ে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দুই শিশুকে বাসায় ডেকে নেয় মোস্তফা ও আজিজুল। এরপর উচ্চস্বরে গান চালিয়ে তারা দুই শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় চিৎকার করলে তাদের মুখে গামছা দিয়ে চেপে ধরলে দু’জনই মারা যায়। মূলত ধর্ষণ করার উদ্দেশেই শিশুদেরকে ডেকে নেয় অভিযুক্তরা।
ডেমরায় দুই শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে হত্যায় জড়িত মোস্তফা ও আজিজুলকে গ্রেফতারের পর সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানায় পুলিশ। পুুলিশ জানায়, শিশুদের চিৎকার যেন বাইরে যেতে না পারে সে জন্য উচ্চস্বরে গান চালায় আসামিরা। এক অপরাধীর স্ত্রীর সন্দেহ থেকে ঘটনার রহস্য উদঘাটন হয় বলেও জানায় পুলিশ। এদিকে, ঘটনা তদন্তে মানবাধিকার কমিশন দুই সদস্যের কমিটি গঠন করেছে।

গেলো সোমবার ডেমরার কোনাপাড়া এলাকায় বাসার সামনে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় সাড়ে চার বছরের নুসরাত ও ৫ বছরের ফারিয়া। খোঁজাখুঁজির পর সন্ধান না পেয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। অবশেষে পাশের বাসার খাটের নিচ থেকে উদ্ধার হয় তাদের মরদেহ। ঘটনার পরই পালিয়ে যায় প্রধান অভিযুক্ত গোলাম মোস্তফা ও আজিজুল বাওয়ানী। পরে যাত্রাবাড়ির ভাঙ্গা প্রেস এলাকা থেকে মোস্তফাকে এবং তার দেয়া তথ্যে ডেমরার কাউন্সিল ব্রিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় আজিজুলকে।

পুলিশ বলছে, সিরামিক মিস্ত্রি মোস্তফার স্ত্রী একটি পোশাক কারখানায় কাজ করে। ঘটনার দিন স্ত্রীর অনুপস্থিতিতে দুই শিশুকে বাসায় ডেকে নেয় তারা। চেষ্টা করে ধর্ষণের। শিশুরা চিৎকার করলে উচ্চস্বরে গান চালিয়ে দেয় এবং গামছা দিয়ে মুখ চেপে ধরে। মোস্তফার স্ত্রী বাসায় আসলে ফাঁস হয় পুরো ঘটনা।

ওয়ারী বিভাগ উপ কমিশনার মো. ফরিদুল উদ্দিন বলেন, ‘লিপস্টিকের প্রলোভন দেখিয়ে মোস্তফা তার ঘরে নিয়ে আসে। তদন্তে পেয়েছি, তারা ধর্ষণের উদ্দেশেই বাচ্চা দুটোকে ঘরের মধ্যে নিয়ে যায়। লাউড স্পিকারে গান বাজিয়ে দেয়, যেন তাদের শব্দ না শোনা যায়। মোস্তফা প্রায় সন্ধ্যা পর্যন্ত বাচ্চা দুটোকে নিয়ে ঘরে অবস্থান করে। মোস্তফার স্ত্রী যখন বাসায় আসে, তখন তার স্বামীকে অস্বাভাবিক আচরণ করতে দেখেন এবং বাসায় ছোট বাচ্চাদের স্যান্ডেল দেখতে পান।’

পুলিশ বলছে, অভিযুক্ত দুজনই মাদকাসক্ত। ঘটনাস্থল থেকে ইয়াবা সেবনের আলামতও উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া মোস্তফার নামে আগেও মামলা রয়েছে যাত্রাবাড়ি থানায়।

তিনি আরো বলেন, ওই বাসা থেকে ইয়াবা সেবনের আলামত পাওয়া গেছে। বাচ্চাদের পরা স্যান্ডেল, যে গামছা দিয়ে মারা হয়েছে সেটা এবং সেই ক্যাসেটও উদ্ধার করা হয়েছে।

এছাড়া গেন্ডারিয়া এলাকায় গেলো শনিবার আরেক শিশুকে ছাদ থেকে ফেলে হত্যার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে নাহিদ নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনাতেও মাদকাসক্ত ও শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত