আখম রায়হান : বার বার চেষ্টা করেও নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলতে পারলেন না বিএনপির নেতারা। নরেন্দ্র মোদির বিপুল বিজয়ের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেলিফোনে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেন এবং তাকে অভিনন্দন জানান এবং বাংলাদেশে সফরের জন্য তাকে আমন্ত্রণ জানান। এরপর থেকেই বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতারা নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলার জন্য তোড়জোর শুরু করে দেন।
লন্ডন থেকে তারেক জিয়া নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলার জন্য বিভিন্ন রকম কসরত করেন। কিন্তু নরেন্দ্র মোদির টিমের পক্ষ থেকে তিার ব্যক্তিগত স্টাফরা জানিয়ে দেন যে নরেন্দ্র মোদি এখন ভীষণ ব্যস্ত। কথা বলার মতো ফুসরত তার নেই। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও তার নিজস্ব সোর্সের মাধ্যমে নরেন্দ্র মোদি এমনকি অমিত শাহর সঙ্গে যোগাযোগ করারও চেষ্টা করেন। কিন্তু সেখান থেকে সারা মিলেনি তার। এমনকি বিএনপিতে ভারত ঘারানার রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত আব্দুল আউয়াল মিন্টুও নরেন্দ্র মোদি বা বিজেপির কোন সিনিয়র নেতার সঙ্গে কথা বলার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালান রাতভর। কিন্তু মিন্টুও সফলকাম হতে পারেননি। এর মাধ্যমে একটা বার্তা পাওয়া গেছে যে, বিএনপির ব্যাপারে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসা মোদি সরকারের দৃষ্টি ভঙ্গির কোন পরিবর্তন হলো না।