যশোর শহরসহ প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছি স্যাটেলাইট টেলিভিশনের সংযোগ সুবিধা। মানুষ ঘরে বসে দেশী-বিদেশী চ্যানেলে সংবাদ, বিনোদনের অনুষ্ঠান দেখতে পারছেন অনায়াসে। অ্যানালগের পরিবর্তে চলছে ডিজিটাল সেবা প্রদানের প্রস্তুতি। জানুয়ারি থেকে এ অঞ্চলের গ্রাহকরা দুই শতাধিক দেশী-বিদেশী চ্যানেল দেখতে পারবেন। বলছিলেন যশোরের বৃহত্তম ক্যাবল অপারেটর প্রতিষ্ঠান যশোর সিটি ক্যাবল প্রাইভেট লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মীর মোশাররফ হোসেন বাবু।
যশোরের ৮ উপজেলার প্রায় প্রত্যেকটি শহর, গ্রাম, হাটবাজারে যশোর সিটি ক্যাবল (প্রা.) লিমিটেডের সংযোগ সেবা পৌঁছে গেছে। ক্যাবল অপারেটর হিসেবে জেলায় ব্যাপক সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গ্রাহকদের উন্নত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে অ্যানালগ পদ্ধতির সেবার পরিবর্তে ডিজিটাল সেবা প্রদানের প্রস্তুতি চলছে। সেই সেবা কার্যক্রম শুরু হলে যশোরের মানুষ ডিজিটাল সেবা পাবে। যশোর সিটি ক্যাবল প্রাইভেট লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মীর মোশাররফ হোসেন বাবু বলেন, নব্বইয়ের দশকে তিনি ক্যাবল অপারেটিং ব্যবসা শুরু করেন স্বল্প পরিসরে। পরবর্তী সময়ে পরিধি বাড়তে থাকে শহরকেন্দ্রিক। এরপর ২০০৩ সালে তিনি রুহুল কুদ্দুস মুকুল, কাজী বর্ণ ও সুশান্ত সাহাসহ চারজন মিলে যশোর সিটি ক্যাবল প্রাইভেট লিমিটেড গঠন করেন। এরপর থেকে ক্যাবল অপারেটিং কার্যক্রম জেলায় বিস্তার লাভ করে। প্রথমদিকে নিজেরাই মাঠপর্যায়ে কার্যক্রম তদারকি করতেন। পরবর্তী সময়ে জনবল নেয়া হয়। ৪০-৫০ জন নিজস্ব জনবল রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। এছাড়াও জেলায় পাঁচ শতাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। যারা এ কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। মীর মোশাররফ হোসেন বাবু বলেন, প্রথমদিকে ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলাম। পরবর্তী সময়ে চারজন ২০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে যাত্রা শুরু করি। বর্তমানে কয়েক কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। প্রতিনিয়ত বিনিয়োগ বাড়ছে। প্রতিষ্ঠানটিও লাভজনক হয়েছে। প্রথম দিকে যখন বিচ্ছিন্নভাবে ক্যাবল অপারেটিং চালু ছিল, তখন বিভিন্ন এলাকায় দ্বন্দ্ব বেধেই থাকত। বর্তমানে ক্যাবল অপারেটিং সিস্টেমে শৃংখলা বিরাজ করছে। গ্রাহক নির্দিষ্ট ফি দিয়ে ঘরে বসে দেশী-বিদেশী টিভি চ্যানেল দেখার সুযোগ পাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ১১ সদস্যের কমিটি দ্বারা সিটি ক্যাবল প্রাইভেট লিমিটেড পরিচালিত হচ্ছে।