আজ - রবিবার, ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ৪:৩৭

শহীদ মেম্বার বলে কথা! বুকভরা বাওড়ে বালি উত্তোলন চলছেই।

মুনতাসির মামুন , বিশেষ প্রতিনিধি : গেল ১৯ মার্চ যশোরের দেয়াড়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহিদুজ্জামান শহীদের অবৈধ বালি উত্তোলন নিয়ে অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশ করেছিলো খানজাহান আলী 24/7 নিউজ।

বুকভরা বাওড় থেকে বালি উত্তোলনে সক্রিয় কয়েকটি চক্রের হোতাদের নাম উঠে এসেছিলো সে অনুসন্ধানে। তার মধ্যে শহীদ মেম্বার অন্যতম। তাঁর নেতৃত্বেই বাকীরা নিজস্ব চক্র পরিচালনা করে আসছে। প্রকাশ্যে এসব কর্মকান্ড ঘটছে তবু প্রশাসনের কোন ইতিবাচক পদক্ষেপ নাই। সে জন্যই গত অনুসন্ধানের শিরোনাম হয়েছিলো বুকভরা বাওড়ে প্রকাশ্যে চলছে বালি উত্তোলন- শহীদের খুঁটির জোর কোথায়?

খানজাহান আলী 24/7 নিউজের অনুসন্ধানী দল বুকভরা বাওড় তথা মঠবাড়ীয়া, পশ্চিম ফরিদপুর, অমদাবাদ, আরিচপুর ও চান্দুটিয়ায় তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে বেরিয়ে আসে ঘটনার পেছনের ঘটনা। স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক ইউপি সদস্য শাহিদুজ্জামান শহীদের নেতৃত্বে ৩ টি গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে বাওড়ে। এদের মধ্যে রাজ্জাক ও আনোয়ারে ১ টি গ্রুপ,আলী মেম্বার ও হযরত আলীদের ১ টি গ্রুপ ও আমির আলী সামির আলী ও মন্টুদের ১ টি গ্রুপ। মোট তিনটি গ্রুপ ভূ-গর্ভ থেকে অবৈধ বালি উত্তোলনে কাজ করছে ।

বিষয়টি খানজাহান আলী 24/7 নিউজের অনুসন্ধানী দল উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু ইব্রাহীম কে জানালে তিনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেও কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করেননি।

অবশেষে শহীদ মেম্বার নিজেই জানালেন তাঁর খুঁটির জোরের কথা শুণুন তাঁর সে হুংকার

মঠবাড়ীয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ওয়াজেদ আলী খানজাহান আলী 24/7 নিউজ কে জানান। আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ বসতবাড়ীও হুমকির মুখে পড়েছে। প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর কয়েকবার অভিযোগ জানিয়েও তেমন কোন ফল হয়নি। প্রশাসনের লোকজন এসে কয়েকবার বাওড় থেকে বালি উত্তোলনের মেশিন তুলে দিয়ে গেছে। কিছুদিনপর পরিস্থিতি আগের মতই হয়ে গেছে।

স্থানীয় জেলে হিরু, হাবিবুর ও নান্নু জানান বালি উত্তোলনের ফলে আমাদের ফসলী জমি নিঁচু হয়ে যাচ্ছে, বাড়ীর দেয়াল ফেঁটে যাচ্ছে, গাছগাছালি মারা যাচ্ছে ইত্যাদি নানা সমস্যা তুলে ধরে তাঁরা প্রশাসনের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

বুকভরা বাওড় কমিটির সভাপতি বাবু বিষনু পদ সরকার খানজাহান আলী 24/7 নিউজ কে জানান ‍,আমি জেলা প্রশাসক , মৎস অধিদপ্তর এমনকি থানার ওসিকেও ঘটনা জানিয়েছি। কিন্তু প্রতিকার পাইনি । আমি নিজে বাঁধা প্রদান করতে গেলে আমাকেও লাঞ্ছিত করেছে তাঁরা।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত