আজ - সোমবার, ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - রাত ৪:১৫

শারীরিক সম্পর্কে জোর করায় হাত-পা বেঁধে স্বামীকে হত্যা

বিয়ের মাত্র ১৮ দিনেই স্বামীকে হাত-পা বেঁধে হত্যা করেছে নববধূ।শারীরিক সম্পর্কে জোর করায় এ হত্যাকাণ্ড বলে জানিয়েছে মোহনপুর থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) রাতে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়নের বিষহারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পরিবারের লোকজন গৃহবধূকে আটক করে মোহনপুর থানায় সোপর্দ করে।

নববধূ নাম কারিমা খাতুন (২০)। সে উপজেলার কামাল হোসেনের মেয়ে। অন্যদিকে, কারিমার স্বামীর নিহত হারুন-অর-রশিদ (২৫)। তিনি একই এলাকার বয়জুল মণ্ডলের ছেলে।

মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বুধবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন কারিমা খাতুন। এর আগে, শ্বশুর বয়জুল মণ্ডলের করা মামলায় তাকে আদালতে নেয়া হয়।

জবানবন্দির বরাত দিয়ে ওসি জানান, ‘মাত্র ১৮ দিন আগে হারুনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় কারিমার। কিন্তু স্বামীকে পছন্দ হয়নি নববধূর। এ নিয়ে বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। গত মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল)  রাতে হারুন শারীরিক সম্পর্কের আগ্রহের কথা জানায় কারিমাকে। কারিমা এত আপত্তি জানায়। এতে হারুন খুব ক্ষিপ্ত হয়ে কারিমাকে চড়-থাপ্পড় মারেন। একপর্যায়ে শর্ত জুড়ে দেন কারিমা।’

ওসি আরও বলেন, ‘এক পর্যায়ে স্বামীর হাত ও পা বাঁধার শর্তে রাজি হন নববধূ। সম্মতি নিয়ে পরে গামছা দিয়ে স্বামীর হাত ও পা বেঁধে ফেলেন কারিমা। এক পর্যায়ে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করেন। এতেই মারা যান হারুন।’

ওসি তৌহিদুল ইসলাম  জানান, বুধবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল মর্গে মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কি না তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

উপজেলার জাহানাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান এমাজ উদ্দিন খান জানান, ‘মঙ্গলবার রাতে নিজ ঘরে শ্বাসরোধে ওই নববধূ তার স্বামীকে হত্যা করে। ভোরে সেহেরি খেতে শাশুড়ি ডাকাডাকি করলে ব্যাগ গুছিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন তিনি। পরে ঘরে ঢুকে ছেলের অচেতন দেহ দেখতে পান মা। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে নববধূকে আটকে রাখেন। পরে এ নিয়ে আইনত ব্যবস্থা নেয় পুলিশ।’

আরো সংবাদ