আজ - শনিবার, ২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২১শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি, (হেমন্তকাল), সময় - রাত ১২:৪০

শার্শায় স্কুল-ছাত্রী অপহরণের দায়ে আটক-২

মো:নয়ন সরদার শার্শা উপজেলা প্রতিনিধি : যশোরের শার্শায় নবম শ্রেণির ছাত্রী অপহরণের দায়ে দুই অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার ও ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে অপহরণের শিকার ছাত্রীটির সঙ্গে অপহরণকারীদের প্রেম ছিল বলেও জানা যায়।

জানা যায়, শাকিল হোসেন (২০) নামে এক যুবকের সঙ্গে মুঠোফোনে পরিচয় হয় নবম শ্রেণির ছাত্রীর (১৪)। পরিচয়ের সূত্র ধরে পরে প্রেম পর্যন্ত গড়ায়। শাকিল ওই ছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ায় রাজি না হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে শাকিল ও তাঁর সহযোগী ইব্রাহিম শেখ (৪৫) ওই ছাত্রীকে অপহরণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

এ ঘটনায় বুধবার সকালে যশোরের শার্শা থানায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে শাকিল হোসেন ও ইব্রাহিম শেখের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করেন। মামলার পরপরই পুলিশ অভিযানে নামে। মোবাইল নম্বর হ্যাকিং করে বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার বরইপাড়া গ্রাম থেকে অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করে। এ সময় দুই অপহরণকারীকেও গ্রেপ্তার করা হয়। আসামি শাকিল হোসেন ও ইব্রাহিম শেখের বাড়ি কুষ্টিয়ার ইবি থানার বরইপাড়া গ্রামে। মেয়েটির মা জানায়, তাদের বাড়ি যশোরের শার্শা উপজেলার পল্লীতে এবং মেয়ে উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। শাকিল হোসেনের সঙ্গে তাঁর মেয়ের মুঠোফোনে পরিচয় হয়। এরপর তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে শাকিল তাঁর মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু তাঁর মেয়ে সে প্রস্তাবে রাজি হয়নি। গত শনিবার বিকেল চারটার দিকে তাঁর মেয়ে বিদ্যালয় থেকে নতুন বই নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় বিদ্যালয়ের সামনে পাকা সড়কের ওপর থেকে শাকিল হোসেন ও ইব্রাহিম শেখ তাঁর মেয়েকে অপহরণ করে মোটরসাইকেলে যশোর শহরের দিকে চলে যান। মেয়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন সেখানে উপস্থিত হন। কিন্তু তাঁরা মেয়েকে রক্ষা করতে পারেননি। শার্শা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বদরুল আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বুধবার থানায় মামলা করার পর অভিযান চালিয়ে কুষ্টিয়ার ইবি থানার বরইপাড়া গ্রাম থেকে অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। দুই আসামি শাকিল হোসেন ও ইব্রাহিম শেখকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। বুধবার বিকালে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে অপহৃত ছাত্রীটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। এ ছাড়া ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। আদালত উদ্ধারকৃত ছাত্রীতে তার মায়ের জিম্মায় দিয়েছেন বলে জানান ওসি বদরুল আলম।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত