আজ - শুক্রবার, ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৪শে শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি, (গ্রীষ্মকাল), সময় - রাত ১:০৩

শার্শার বাগআঁচড়ায় সদ্য নবাজাতক বিক্রির অভিযোগ।

যশোরের শার্শার বাগআঁচড়া গাজী পাড়ায় সদ্য জন্ম নেওয়া এক নবজাতকে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজু আহমেদের বিরুদ্ধে।

১২ই নভেম্বর শনিবার সকালে রাজু আহমেদের স্ত্রী শিরিনা ৩য় বারের মত একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। প্রসব করার এক ঘন্টার মধ্যে বাচ্চাটিকে তার ফুফু শ্বাশুড়ি রিজিয়ার মাধ্যমে নাভারণ কুন্দিপুর গ্রামের তৈয়মুরের কাছে হস্তান্তর করে।

এ বিষয়ে নবজাতকের পিতা রাজু আহমেদ বলেন, আমার ২ টা কন্যা আছে, পুত্র সন্তানের আশায় আবারও বাচ্চা নেওয়ার প্রকালে ৩য় বার মেয়ে সন্তান হওয়ায় বাচ্চাটিকে আমরা অন্য নিঃসন্তান দম্পতিকে দিয়ে দিই। রাজু আহমেদের স্ত্রী শিরিনাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনিও একই উত্তর দেন।

৩লাখ টাকার লেনদেনের বিষয়টি সামনে আনতেই নবজাতকের পিতা মাতা অস্বীকার করে বলেন এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা।

আইনি প্রক্রিয়ায় বাচ্চা হস্তান্তর করেছেন কিনা জানতে চাইলে রাজু আহমেদ বলেন, না তা করিনি। কেন করেননি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা জানিনা আইনি প্রক্রিয়ায় বাচ্চা অন্য কাউকে দিতে হয় কিনা।

এদিকে যার মাধ্যমে বাচ্চা হস্তান্তর করা হয়েছে খোদ সেই রিজিয়া খাতুন বলেন, বাচ্চা তো দিয়ে এসেছি। কাকে দিয়ে এসেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার নিঃসন্তান ছেলে বউয়ের জন্য বাচ্চা চেয়েছিলাম। কিন্ত রাজু দিতে রাজী হয়নি তাই আমার বৌমার ভাই নাভারনের তৌমুরকে দিয়ে এসেছি।

মুঠোফোনে তৌমুরের কাছে জানতে চাইলে, তিনি জানান বাচ্চা আমি নিয়েছি, তবে বাচ্চাটা যশোরের চাচাতো বোনকে দিব। আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি জিঞ্জাস করলে তিনি বলেন কোন টাকা পয়সার লেনদেন হয়নি।

এ বিষয়ে বাগআঁচড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি মিটিংয়ে আছি, এবিষয়ে কিছু জানি না।

আরো সংবাদ
যশোর জেলা
ফেসবুক পেজ
সর্বাধিক পঠিত